নবম-দশম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১০ : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম-দশম শ্রেণি | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ১০ : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

দশম অধ্যায় নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠিত হওয়ার পর থেকে এর উদ্দেশ্য সংস্থাটি অনেক সাফল্য লাভ করেছে। খুদা ও দারিদ্রতা মুক্ত হয়ে সকলের মর্যাদা নিশ্চিত করতে পেরেছে । 

নবম-দশম শ্রেণি  বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়  অধ্যায় ১০  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

জাতিসংঘ তাই অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমন্বয়ে টেকসই উন্নত অর্জনে সঙ্গে অনেক কাজ করে।

এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সৃজনশীল প্রশ্ন ১

স্নিগ্ধ ও মুগ্ধ দুই ভাই বিদেশে দুটো পৃথক রাষ্ট্রে উচ্চতর। পড়াশুনার উদ্দেশ্যে গমন করে। স্নিগ্ধ দেখতে পায় তার অবস্থানের রাষ্ট্রটিতে ব্যক্তিগত কোনো সম্পদ নেই। সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং সেখানে ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই। অপরদিকে যুদ্ধ পড়াশুনার পাশাপাশি তার অবস্থানের রাষ্ট্রটিতে ব্যবসায় বাণিজ্য করার সুযোগ পাচ্ছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে দ্রব্য উৎপাদনের স্বাধীনতা এখানে অবাধ।

ক. জাতীয় সম্পদের উৎস কয়টি?

খ. সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

গ. স্নিগ্ধ যে রাষ্ট্রটিতে অবস্থান করছে সে রাষ্ট্রটিতে কোন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান ব্যাখ্যা কর।

ঘ. দ্বিন্দ্ব ও মুগ্ধ যে দুটি রাষ্ট্রে অবস্থান করছে সে দুটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সৃজনশীল ১নং প্রশ্নের উত্তর

(ক) জাতীয় সম্পদের উৎস দুইটি।

(খ) সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে যে সকল সম্পদ ভোগ করে, সেগুলোই সমষ্টিগত সম্পদ। সমষ্টিগত সম্পদ ভোগ করা রাষ্ট্র ও জনগণ এর সম্মিলিত অধিকার। এগুলোর পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও কল্যাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাই এসব সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণে প্রতিটি নাগরিকরেই বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। তাই সমষ্টিগত সম্পদের সংরক্ষণে নিয়োজিত। সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

(গ) সিন্ধ যে রাষ্ট্রটিতে অবস্থান করছে সে রাষ্ট্রে সমাজতান্ত্রিক। অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসমূহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। সম্পদের ওপর কোনো ব্যক্তিমালিকানা থাকে না। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সরকার দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের ক্ষেত্রে মৌলিক সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। কোনো দ্রব্য কী পরিমাণে, কখন ও কোন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত হবে এবং এই দ্রব্য কাদের নিকট সরবরাহ করা হবে এসব সরকার। স্থির করে। এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগের সুযোগ নেই। 

রাষ্ট্রই শ্রমিকের মজুরি প্রদান করে এবং উৎপাদনের অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করে। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কেউ উৎপাদনে তার। অবদান অনুসারে প্রাপ্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়। না। উদ্দীপকে। সিম্পের অবস্থানকৃত দেশে ব্যক্তিগত কোনো সম্পদ নেই। 

সকল সম্পদ রাষ্ট্রের মালিকানাধীন এবং ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নেই। এসবই সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার মধ্যে পড়ে। সুতরাং বলা যায়, সিন্ধের অবস্থানকৃত দেশের অর্থব্যবস্থার ধরনটি সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

(ঘ) ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি ব্যক্তিগত ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। ও শিল্পস্থাপন করতে পারে। তাই মুগ্ধ এর অবস্থানকৃত দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। ধনতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক। অর্থব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। 

ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সকল ব্যক্তি তাদের ইচ্ছা ও সুবিধা অনুযায়ী উৎপাদন, কলকারখানা স্থাপন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, ইত্যাদি করে সম্পদ অর্জন করে। অর্থাৎ এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মালিকানা বজায় থাকে। অন্যদিকে সমাজতন্ত্রে সব সম্পদ বা উৎপাদনের উপকরণগুলো রাষ্ট্রের মালিকনাধীন। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় প্রত্যেক ভোক্তা তার সামর্থ্য, ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী। 

যেকোনো দ্রব্য অবাধে ভোগ করতে পারে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় দেশে কেবল সরকারি উদ্যোগে সমাজের প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন ও আমদানি করা হয়। ধনতান্ত্রিক। অর্থব্যবস্থায় মুনাফা পুঁজিপতি ও উদ্যোক্তা গ্রহণ করে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অর্জিত মুনাফার মালিক রাষ্ট্র বা সরকার। আবার, ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরি দেওয়া হয় না। 

অন্যদিকে, সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় শ্রমিক তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ ও পারিশ্রমিক পায়। ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সম্পদের

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় নবম-দশম শ্রেণি ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সৃজনশীল প্রশ্ন ২:

'ক' দেশ- উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে উৎপাদকের স্বাধীনতা নেই। ব্যক্তিগত মুনাফা অর্জনের সুযোগ নাই।

'খ' দেশ-উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগ স্বাধীনভাবে পরিচালিত হলেও সরকারি নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান। মুনাফা অর্জনই প্রধান লক্ষ্য।

ক. উৎপাদনের উপাদান কয়টি?

খ. মোট দেশজ উৎপাদন বলতে। কী বোঝায়?

গ. 'ক' দেশে, কী ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি দেশের মধ্যে কোন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সৃজনশীল ১১নং প্রশ্নের উত্তর

(ক) উৎপাদনের উপাদান ৪টি।

(খ) মোট দেশজ উৎপাদন হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে দেশের অভ্যন্তরে বা ভৌগোলিক সীমানার ভিতরে বসবাসকারী সকল জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের আর্থিক মূল্যের সমষ্টি। এতে দেশের সীমানার মধ্যে বসবাসকারী সকল দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয় অন্তর্ভুক্ত হবে তবে বিদেশে অবস্থানকারী দেশের নাগরিক, সংস্থা প্রতিষ্ঠানের উ আয় অন্তর্ভুক্ত হবে না।

(গ) 'ক' দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিদ্যমান। উদ্দীপকে উ 'ক' দেশে উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নেই এবং ব্যক্তিগতভূ মুনাফা লাভের সুযোগ নেই। এ দুটি বৈশিষ্ট্য কেবলমাত্র সমাজতন্ত্রে বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসহ সকল উ সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্পদে কোনো রকম ব্যক্তিমালিকানার স্বীকৃতি নেই। 

সমাজতন্ত্র হচ্ছে 'সমাজের অর্থনৈতিক সংগঠন।' এ যে সংগঠনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র উৎপাদনের চারটি উপাদানকে সমন্বিত করে। স একটি সার্বিক কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা অনুসারে উৎপাদকের স্বাধীনতা নামি থাকার পাশাপাশি ভোগের ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা নেই। 

দ্রব্য কাদের নিকট সরবরাহ করা হবে তাও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হয়। উৎপাদক সরকার নির্ধারিত দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করে এবং ভোগকারী সেগুলো প্রয়োজনমতো ক্রয় ও ভোগ করে। সামাজিকভাবে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ব্যতীত অন্য দ্রব্য নির্বাচন ও ক্রয়ে ভোক্তার স্বাধীনতা নেই। 

সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও জনগণের সর্বাধিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে পরিচালিত হয় বলে এতে ব্যক্তিগত মুনাফা অনুপস্থিত থাকে।

(ঘ) উদ্দীপকের 'ক' দেশে সমাজতান্ত্রিক এবং 'খ' দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা প্রচলিত আছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থাই অধিক প্রযোজ্য। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর দেশে সাংবিধানিকভাবে সমাজতন্ত্র অভিমুখী অর্থনীতি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বড় বড় কলকারখানা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, কোম্পানি, পরিবহন, শিল্প প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক শিক্ষা, আমদানি-রপ্তানিপ্রভৃতি রাষ্ট্রীয় মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। 

কিন্তু স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় দক্ষ প্রশাসক, ব্যবস্থাপক, উদ্যোক্তাসহ মানবসম্পদেরব্যাপক ধ্বংস সাধিত হয়। ফলে উক্ত প্রতিষ্ঠাসমূহ যথাযথ ব্যবস্থাপনানিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এতে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান লোকসানের সম্মুখীন হয়। ফলে বেসরকারি খাত ও ব্যক্তি উদ্যোগকে সম্প্রসারণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ধারা নব্বই-এর দশক পেরিয়ে

বর্তমানেও চালু আছে। বর্তমান বিশ্বে বিরাজমান অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সমতালে চলার লক্ষ্যে মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিকল্প নেই।বাংলাদেশেও একই লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেশে বেসরকারি খাত ক্রমশ সম্প্রসারিত হচ্ছে। সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে উৎপাদন এ কার্য পরিচালনা করা হলেও উদ্যোক্তা ও ভোক্তার স্বাধীনতা রয়েছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণও। 

যেহেতু বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র সফল হতে পারেনি এবং ধনতান্ত্রিক এর প্রাধান্যসহ মিশ্র অর্থব্যবস্থা সফলতার দ্বারপ্রান্তে, তাই উদ্দীপকে উল্লিখিত 'খ' দেশের অর্থব্যবস্থাটিই বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য।

Read more: অধ্যবসায় রচনা

এসএসসি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ২০২৪

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সৃজনশীল প্রশ্ন ৩

জনাব দীপ্ত 'ক' নামক একটি দেশে বসবাস করেন। তার দেশের উৎপাদনের বেশির ভাগ উপকরণই ব্যক্তিমালিকানাধীন তবে সরকারি মালিকানাও কম নয়। এখানে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সকল উৎপাদন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও একথা সত্য যে, জনকল্যাণের স্বার্থে সরকারও উৎপাদন কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। এখানে ভোগের স্বাধীনতা থাকলেও আংশিকভাবে তা সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।

ক. সম্পদ কী?

খ. সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণে প্রতিটি নাগরিকের বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন কেন?

গ. জনাব দীপ্তের দেশে কোন ধরনের অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. তুমি কি দীপ্তের দেশের অর্থব্যবস্থাকে সমর্থন কর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সৃজনশীল ৩নং প্রশ্নের উত্তর

(ক) আমরা সাধারণত অর্থ, জমিজমা, বাড়িঘর, নানারকম প্রয়োজনীয় ও স্থায়ী দ্রব্যসামগ্রী, স্বর্ণ-রৌপ্য প্রভৃতিকে সম্পদ বলে থাকি।

(খ) নিজেদের প্রয়োজনের স্বার্থেই সমষ্টিগত সম্পদ সংরক্ষণে প্রতিটি নাগরিকের বিশেষ যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। রাস্তাঘাট, রেলপথ, বাঁধ, পার্ক, সরকারি হাসপাতাল ও স্কুল, রাষ্ট্রের মালিকানাধীন সকল প্রাকৃতিক সম্পদ (যেমন- বনাঞ্চল, খনিজ সম্পদ, নদনদী ইত্যাদি) প্রভৃতি সমষ্টিগত সম্পদ।

(গ) উদ্দীপকের জনাব দীপ্তের দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি খাত সহাবস্থান করে। এ অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন, বিনিয়োগ ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিমালিকানা স্বীকৃতি হলেও সরকারি উদ্যোগে উৎপাদন ও বিনিয়োগ হয়। এ অর্থব্যবস্থায় জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য ও সেবা যেমন- যোগাযোগ ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রভৃতি সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। 

এছাড়া মৌলিক ও বৃহদায়তন শিল্প, জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, প্রধান আমদানি ও রপ্তানি প্রতিষ্ঠান, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ প্রভৃতি সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকে। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত হয়। উদ্দীপকের জনাব দীপ্তের দেশে এ অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান।

(ঘ) হ্যাঁ দীপ্তের দেশের অর্থব্যবস্থা হলো মিশ্র অর্থব্যবস্থা। যা আমি পূর্ণরূপে সমর্থন করি। মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের সহাবস্থান থাকে। এ অর্থব্যবস্থা এমন একটি অর্থব্যবস্থা যেখানে দ্রব্য উৎপাদন, বিনিয়োগ ও ভোগের ক্ষেত্রে যেমন বক্তি মালিকানা স্বীকৃত তেমনি সরকারি উদ্যোগে উৎপাদন ও বিনিয়োগের ব্যবস্থাও রয়েছে। 

এক্ষেত্রে অর্থনীতির কোনো কোনো খাত যেমন সরকারি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়, তেমনি ব্যক্তিমালিকানায় কোনো কোনো খাতও পরিচালিত হয়। এ অর্থব্যবস্থায় সরকার যেসব খাতকে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় মনে করে সেসব খাত সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে বেসরকারি বা ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয়। ব্যক্তিমালিকানা বজায় থাকে বিধায় এখানে ব্যক্তির আগ্রহ বেশি থাকে। 

ফলে এখানে পণ্য ও সেবা মানসম্পন্ন হয়ে থাকে। আবার ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে মুনাফার জন্য প্রতিযোগিতা থাকে, তাই এখানে ক্রেতা সামর্থ্য ও পছন্দ অনুযায়ী দ্রব্য ক্রয় করতে পারে। 

এ অর্থ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খাতসমূহ মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। কাজেই উল্লিখিত আলোচনার প্রেক্ষিতে দীপ্তের দেশের মিশ্র অর্থব্যবস্থাকে আমি পুরোপুরি সমর্থন করি।

Read more: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ১০ম অধ্যায় (সমন্বয়)

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সৃজনশীল প্রশ্ন ৪

তমাল স্কুলের স্কাউট দলের সদস্য। তার স্কুলে আসা যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে একটি পানির ট্যাপ আছে। কে বা কারা সেটি প্রায়ই খুলে রেখে যায়। তমাল তার সাইকেল থামিয়ে তা বন্ধ করে। সে চিন্তা করে এভাবে যদি অকারণে পানি পড়তে থাকে তাহলে শহরের বহু মানুষ বাসাবাড়িতে পানির সংকটে ভুগবে।

ক. উপযোগ কাকে বলে?

খ. অপ্রাচুর্য বলতে কী বোঝ?

গ. তমালের সংরক্ষণ করা বস্তুটি কোন ধরনের সম্পদ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. 'জনগণের কল্যাণ বা উন্নয়নের জন্য এ ধরনের সম্পদ সংরক্ষণে যত্নবান হওয়া প্রয়োজন'- বিশ্লেষণ কর।

Read more : নবম ও দশম শ্রেণি : রসায়ন একাদশ অধ্যায় : খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সৃজনশীল ৪ নং প্রশ্নের উত্তর

(ক) কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।

(খ) যে কোনো একটি দ্রব্যের সরবরাহ এর চাহিদার তুলনায় কম হলে দ্রব্যটির অপ্রাচুর্যতা দেখা দেয়। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় খাদ্য একটি। দ্রব্য। যেকোনো দেশে যেকোনো সময়ে খাদ্যের সরবরাহ এর চাহিদার তুলনায় কম। সেই জন্য খাদ্য পেতে হলে এর দাম পরিশোধ করতে হয়। এটিই হলো খাদ্যের অপ্রাচুর্য।

(গ) উদ্দীপকের তমাল স্কাউট দলের সদস্য। সে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে একটি পানির ট্যাপ রয়েছে। যেটি প্রায়ই খুলে রাখা হয়। সেটি সে বন্ধ করে। এখানে উল্লিখিত সম্পদ হলো পানি এবং এই পানি উক্ত সমাজের সকলে সম্মিলিতভাবে ভোগ করে। প্রতিটি মানুষই তার দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত এই পানি ব্যবহার করে। থাকে। 

তাই সমাজের সকলেরই এর উপর সমান অধিকার ও কর্তব্য রয়েছে। এটি সমাজের সকলের অধীন। তমালের সংরক্ষণ করা। সম্পদটি জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় বা সমষ্টিগত সম্পদ।

(ঘ) জনগণের কল্যাণ বা উন্নয়নের জন্য জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় সম্পদ অ সংরক্ষণে যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। প্রশ্নোক্ত এ উক্তিটি যথার্থ। প্রাকৃতিক সকল সম্পদ, ভূমি ও ভূমির উপরিস্থিত এবং অভ্যন্তর ভাগের সম্পদ সকল সমষ্টিগত বা জাতীয় সম্পদ যা পরিকল্পিতভাবে পরিমিত ব্যবহার করতে হবে। 

জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণে নির্দিষ্ট কিছু সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাদেরকে নিজ দায়িত্বে সঠিকভাবে তা পালন করতে হবে। অনেক সময় কোনো সমষ্টিগত সম্পদ বা জাতীয় সম্পদের যেন অপচয় না হয় বা কোনো অপব্যবহার না করা হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। 

অতএব, উপরিউক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে সমষ্টিগত বা জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় সম্পদ সংরক্ষণে যত্নবান হলে জনগণের কল্যাণ বা উন্নয়ন সম্ভব।

Previous Post Next Post