বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট। বুয়েটে কি কি সাবজেক্ট আছে ?

এইচএসসি এর পরে বেশিরভাগেরই মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছা থাকে বুয়েটে পড়ার। কিন্তু সবাই সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনা। কিন্তু কেউ কেউ রাতের ঘুমকে হারাম করে জয় করে নেয় এই সুপ্ত ইচ্ছা কে। অনেক সময় অনেকে সুযোগ পেয়েও তাদের মন মত সাবজেক্ট চয়েজ করতে পারে না।সামান্যই ভুলের জন্য তাদেরকে পড়তে হয় অন্য সাবজেক্টে।তাই আজকের এ আর্টিকেলটি আমরা সাজিয়েছি বুয়েটের সাবজেক্ট নিয়ে। এই আর্টিকেলটি পড়লে আজকে আমরা বুঝতে পারবো বুয়েটের সবচেয়ে সেরা সাবজেক্ট কোনগুলো। আর্টিকেলটি পড়লে বুয়েটের সাবজেক্ট চয়েস আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। চলুন তাহলে জেনে নিই বুয়েট এবং বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট এবং অন্যান্য সাবজেক্ট এর ব্যাপারে।

বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট। বুয়েটে কি কি সাবজেক্ট আছে ?

{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

বুয়েট পরিচিতি

বুয়েট বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়। সারা পৃথিবীর ওয়ার্ল্ড এ এটি খুব ভালো একটা অবস্থানে আছে। বুয়েট অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পায়। বুয়েট নামকরনের আগে এটির নাম ছিল আহসানুল্লাহ স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। মূলত কারিগরি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় টি তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্বাধীনতার পর এটির নাম পরিবর্তিত করে রাখা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। সারা বাংলাদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী বুয়েটে পড়াশোনার জন্য অধীর আগ্রহে থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবছর সুযোগ পায় এখানে পড়াশোনা করার। 

আমরা অনেকেই বুয়েট সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানিনা ১৮৭৬ সালে ব্রিটিশ রাজ ঢাকা সার্ভে স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন যার উদ্দেশ্য ছিল সেই সময় অংশগ্রহণকারী কর্মচারীদের কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা তখন ঢাকার সেই সময়কার রাজা আহসানুল্লাহ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী হোন এবং মুসলমানদের শিক্ষা দীক্ষায় অগ্রগতির জন্য ঢাকা সার্ভে স্কুল থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে পরিণত করেন বর্তমানে এই প্রকল্প উন্নয়নের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা অনুদানের আশ্বাস দেয় তার মৃত্যুর পর তার একমাত্র পুত্র নবাব সলিমুল্লাহ ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে তার বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন তখন নবাব আহসানুল্লাহ সম্মানার্থে ১৯০৮ সালে এটির নামকরণ করা হয় আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৎকালীন সরকার ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন সরকার ঢাকায় একটি প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় আপনি সিদ্ধান্ত নেয় যা ছিল মে মাসে ছাত্র ভর্তির জন্য তখন শিবপুরস্থ বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও আহসানুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া বাকি সব শিক্ষকরা এদেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায় ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের ফলে।

১৯৪৮ সালে ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এই কলেজটির অনুমোদন দেয় তখন পুরো,কৌশল,তড়িৎ, যন্ত্র, তুমি কৌশল, কৃষি প্রকৌশল, মেকানিক্যাল প্রকৌশল, টেক্সটাইল প্রকৌশল ইত্যাদি চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রী ইত্যাদি করছে ভর্তি চলে।বর্তমানে ১৮ বিভাগের মধ্যে বুয়েটের সেরা সাবজেক্টগুলো নির্ধারণ করা হয়।পাকিস্তানের আমলে তখন একে জুন ১৯৬২ সালে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেয়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর যখন বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে তখন এর নাম পরিবর্তন করা হয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে রূপান্তর করা হয় যাব বর্তমানে BUET নামে খুবই পরিচিত বুয়েটে বর্তমানে ৫ অনুষদে ১৮ টি বিভাগ আছে বুয়েটের অবস্থান এবং প্রাঙ্গণ বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা জেলায় অবস্থিত শহরের কেন্দ্রস্থলে ৮৩.৯ একর (৩৩.৯৫) হেক্টর অবস্থিত।

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা বছর বছর আলাদা আলাদা হয় যা কখনো কখনো বিভিন্ন নাম্বারে হয়ে থাকে যার তখন বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার দিলে আমরা আমাদের আর্টিকেল আপডেট করে দেব।

মার্ক ডিস্ট্রিবিউশন

বুয়েটে দুইটি মডিউল এক্সাম হয়

মডিউল এ এবং মডিউল বি

  • Physics 200 marks
  • Chemistry 200 marks
  • Math 200 marks

যারা বি মডিউলে এক্সাম দিবে তাদেরকে আরও ২৫০ মার্ক ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং করতে হবে। বর্তমানে বইটির ভর্তি পরীক্ষা কেমন হয়ে থাকে সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। সমস্যা নেই www.bongosite.com থেকে আমরা সব তথ্য জেনে যাব বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা সাধারণত অনেক ধাপে হয়ে থাকে।

১। প্রথম ধাপে বাছাই পর্ব ও প্রাক পরীক্ষা শুরু হয় এ পর্বে মূলত আমরা এসএসসি এবং এইচএসসি ফলাফলের ভেতর একটি রেজাল্ট পাবলিশ করা হয়। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি বুয়েটে লিখিত পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত কিনা।

২। এরপর শুরু হয় লিখিত পরীক্ষার যাবো ওয়েট কর্তৃক নির্দেশিত একটি টাইমে উপস্থিত হয়।

৩। পরীক্ষায় যারা টিকে যাবে তাদের জন্য পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। যারা মৌখিক পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষায় দুইটাই উত্তীর্ণ হবে তখন তারা তাদের সাবজেক্ট চয়েস দিতে পারবে।

পরিশেষে আমরা এইটা বলবো আপনি যদি একটি ভালো সাবজেক্ট পেতে চান। আপনাকে অবশ্যই মেধা যাচাই এর উপরের দিকে থাকতে হবে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটি ভালো সাবজেক্ট পেতে পারেন।

বুয়েটে সুযোগ পাওয়ার জন্য কিভাবে পড়া উচিত?

বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় মূলত অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারের পদার্থ, রসায়ন, ফিজিক্স, উচ্চতর গনিত এই বিষয়গুলোর উপর তবে এই বিষয়গুলো বেসিক নলেজ ভালো থাকতে হবে। তবে একটা প্রশ্ন আসেতে পারে। কতটুকু বেসিক নলেজে থাকা প্রয়োজন।একটা বই মূলত অনুশীলন করবে কোন টপিক যদি নিজের ভাষায় ভালোভাবে বুঝাতে পারো তাহলে ওই বইটি তোমার আয়ত্তে আছে। তাছাড়া ইন্টারে প্রথম থেকেই মনোযোগী হয়ে পড়ালেখা করা উচিত। তোমার লক্ষ্য থাকা উচিত ভাল মার্কস উঠানো। তুমি নিজের প্রতি হাসতাশীল থাকবে সময় থাকলে মেইন বইয়ের পাশাপাশি অন্য বইগুলো অনুশীলন করবে।

সর্বোপরি বলতে পারি পড়াশোনা কম করলেও নিয়মিত করবে। বুঝে বুঝে পড়া শুধু বুয়েটে না সব ক্ষেত্রেই তোমাকে উপকৃত করবে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে।

বুয়েটে পড়ার খরচ কেমন

বুয়েট সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা আছে বুয়েট মোটেও ব্যয়বহুল জায়গা না। বুয়েটে পড়তে গেলে আপনার যে বছর বছর লাখ লাখ টাকা যাবে সেটাও সঠিক না। আমরা অনেকেই চিন্তায় থাকি বুয়েটে পড়তে আমাদের প্রতি বছর কত খরচ হবে কারণ সবার পরিবারের অবস্থা একরকম হয় না। আপনি যদি বুয়েট একটি হলে থাকেন এক শিক্ষাবর্ষে খরচের প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা। এছাড়াও খাবারের জন্য মাসিক ১৫০০ টাকা করে দিতে হয়। ঢাকায় থাকার জায়গা ছাড়া এটি শিক্ষার্থী হলে সিট পেতে পারে।

বুয়েটের সেমিস্টার ফি

সেমিস্টার ফি মাত্র ২৭৪ টাকা করে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দিতে হয়।

বুয়েটের বৃত্তি

আপনি যদি বোর্ড স্কলারশিপ যোগ্য হন তাহলে বইয়ের থেকে আপনাকে একটি ভর্তি প্রদান করা হবে। আপনি ৫ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বার্ষিক ব্যক্তি পেয়ে থাকবেন। আপনি যদি ভোট করতে কি স্কলারশিপ নাও পান তাহলেও বুয়েট আপনাকে ৫০০০ টাকার টেকনিক্যাল বৃত্তি দিয়ে থাকবে।

বুয়েটে সুযোগ সুবিধা

বুয়েটে অনেক অনেক সুযোগ সুবিধা অফার করে যা আপনার জন্য অনেক মূল্যবান। আপনার পড়াশোনার জন্য একটি সিঙ্গেল বেড, টেবিল, ২৪ ঘন্টার ভিতরে ৭ ঘন্টার জেনারেটর ব্যবস্থা এবং খাবার খাবারের মান আবার অনেক ভালো।

বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট

বুয়েটে সর্বমোট ১৮ টি বিভাগ রয়েছে। তার মধ্যে এখানে সবচেয়ে সেরা কিছু বিভাগ এর কথা উল্লেখ করা হলো।

  • কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
  • তড়িৎ ও ইলেকট্রিক কৌশল বিভাগ
  • পুরকৌশল বিভাগ
  • যন্ত্রকৌশল বিভাগ
  • শিল্প ও উৎপাদন কৌশল বিভাগ
  • স্থাপত্য বিভাগ

এগুলো হচ্ছে বুয়েটের সবচেয়ে সেরা বিভাগ। যেগুলোর চাহিদা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও সাবজেক্ট চয়েসের ক্ষেত্রে ব্যক্তির পছন্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ওপরে যে সাবজেক্টগুলো উল্লেখ করা হলো সেগুলো হচ্ছে বর্তমান সময়ের চাহিদার উপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে, কিন্তু সাবজেক্ট চয়েসের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যক্তিগত পছন্দ থাকতে পারে। যেমন কেউ মানবিক বিভাগ পছন্দ করতে পারে আবার কেউ বা বায় মেডিকেল বিভাগ পছন্দ করতে পারে।

বুয়েটের ইনস্টিটিউট

বুয়েটে সর্বমোট চারটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানকে আরো সম্প্রসারণ করাই ছিল এ ইনস্টিটিউট গুলোর মূল লক্ষ্য। এছাড়াও এ ইনস্টিটিউট গুলো প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। এখানে আমরা এই ইনস্টিটিউট গুলোর নাম উল্লেখ করে দিচ্ছি ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট

এটিকে সংক্ষেপে " আই আই ই টি সি" বলা হয়।

পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট

এটিকে সংক্ষেপে "আই ডব্লিউ এফ এম " বলা হয়।

এপ্রোপিয়েট টেকনোলজি ইনস্টিটিউট

এটিকে সংক্ষেপে আইএটি বলা হয়।

দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট

এটিকের সংক্ষেপে এআরআই বলা হয়। ইনস্টিটিউট গুলো আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এগুলোতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্প্রসারণে ইনস্টিটিউট গুলো দারুন ভূমিকা পালন করে।

বুয়েটে যে যে সাবজেক্ট আছে

এখানে বুয়েটের সাবজেক্ট গুলোর সাথে অনুষদ বিভাগ এবং বিভাগের সংক্ষিপ্ত রূপটি উল্লেখ করা হয়েছে ।

কেমিক্যাল এন্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল অনুষদ

  • কেমিকৌশল বিভাগ
  • বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ
  • ন্যানোম্যাটেরিয়ালস এন্ড সিরামিক কৌশল বিভাগ
  • পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগ

বিজ্ঞান অনুষদ

  • রসায়ন বিভাগ
  • গণিত বিভাগ
  • পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ

পুরকৌশল অনুষদ

  • পুরকৌশল বিভাগ
  • পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ

যন্ত্রকৌশল অনুষদ

  • যন্ত্রকৌশল বিভাগ
  • নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ
  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন প্রকৌশল বিভাগ

তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদ

  • তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ
  • কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রকৌশল বিভাগ
  • বায়োম্যাডিকেল প্রকৌশল বিভাগ

স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা অনুষদ

  • স্থাপত্য বিভাগ
  • মানবিক বিভাগ
  • নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ

মোট অনুষদ: ৬ টি মোট বিভাগ: ১৮ টি

বুয়েটে সর্বমোট ছয়টি অনুষদের মধ্যেই ১৮ টি বিভাগ রয়েছে। যেগুলো উপরে আমরা উল্লেখ করে দিয়েছি। এখানে ১৮টি বিভাগ গুলোর সংক্ষিপ্ত নামটাও লিখা হয়েছে। যাতে তোমাদের বুঝতে সুবিধা হয়।

বুয়েট নিয়ে কিছু কথা

বুয়েটে যে ক্যাম্পাসটি রয়েছে সেটি ঢাকার পলাশী এলাকায় অবস্থিত। ক্যাম্পাসের মূল অংশে যন্ত্রকৌশল পুর কৌশল বিভাগ এবং একাডেমিক ভবনটি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল কিছুটা কাছেই রয়েছে।

বুয়েটে বেশ কিছু অধিদপ্তর এবং কেন্দ্র রয়েছে নিজে তাদের কয়েকটি উল্লেখ করা হয়েছে

  • শক্তি অধ্যয়ন কেন্দ্র
  • পরিবেশ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র
  • বায়োমেডিকেল প্রকৌশল কেন্দ্র
  • গবেষণা, পরীক্ষা ও পরামর্শ ব্যুরো
  • আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ নেটওয়ার্ক কেন্দ্র
এগুলো ছাড়াও আরো কিছু অধিদপ্তর এখানে রয়েছে।

বুয়েটে আবেদন করার নিয়ম

আমরা অনেকেই মনে করি বুয়েটে আবেদন করার নিয়ম অনেক কঠিন আসলেই কিন্তু তা নয়। আবেদন করার নিয়ম এবং ভর্তির নির্দেশিকা বুয়েটে নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট www.buet.ac.bd পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটের নির্দেশিকা মত ফরম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফরম পূরণ শেষে একটি সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করার শেষে ওয়েবসাইট একটি এপ্লাই সিরিয়াল নাম্বার প্রদান করবে। ওই সিরিয়াল নাম্বার মোতাবেক বুয়েটের ওয়েবসাইটে লিখিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। অতঃপর আবেদনটির চূড়ান্ত ফাইনাল সাবমিট দিতে হবে।

আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রোজ সোমবার বিকাল ৩ পর। আবেদনপত্র পূরণ এবং শুরু করা যাবে না। ঐদিন বিকেল ৫.৩০ পর অনলাইন আবেদন পূরণ বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও আপনি আবেদনপত্র পূরণ করে ফেলেন কিন্তু আপনি সেটি জমা দিতে পারবেন না।

আলোকবর্তিতা

আলোকবর্তিতা বুয়েটের অসাধারণ একটি লাইব্রেরী। এটি একটি উন্মুক্ত গ্রন্থাগার। এখানে কোন এন্ট্রি করা ছাড়াই আপনি যেকোনো বই নিতে পারবেন। তবে শর্ত হলো একটি বই নেওয়ার বিনিময়ে আপনাকে এখানে আরেকটি বই দিতে হবে।

আমাদের পরিচিত শিক্ষার্থী

বুয়েটে পড়াশোনা করেছে এরকম অনেক পরিচিত শিক্ষার্থী আছে, যাদেরকে আমরা চিনি। সবার প্রথমেই বলা যায় অভিনেত্রী অপি করিমের কথা। তিনি বুয়েটে পড়াশোনা করেছেন। অভিনেতা আবুল হায়াতও সেখান থেকে পড়াশোনা করেছেন। একাধারে কবি, লেখক, নাট্যকার এবং সাংবাদিক, আনিসুল হককে আমরা সবাই চিনি তিনিও সেখানকার শিক্ষার্থী।

বর্তমান সময়ের পরিচিত মুখ, শিরোনামহীনের জিয়াউর রহমান জিয়া, আভাস এর ভোকাল তানজির তুহিন এরাও বুয়েট থেকে পড়াশোনা করেছেন।বুয়েটে ৯টি ছাত্রাবাস রয়েছে তার মধ্যে আহসানুল্লাহ হলটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য নির্দিষ্ট করা।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বুয়েটে পড়াশোনা করা যেন সোনার হরিণ। কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়ই পারবে এই সোনার হরিণকে ধরতে। কারণ যে কোন স্বপ্নকে সত্যি করতে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।

পরিশেষে আমরা এটাই বলব যে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন বুয়েট ব্যয় বহুল জায়গা নয়। প্রকৃতপক্ষে এটি অনেক সুবিধা এবং শাস্ত্রই ভাবে শিক্ষা প্রদান করে।

Previous Post Next Post