৯ম-১০ম শ্রেণি বাংলা সাহিত্য । বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বই পড়া গল্পের মূলভাব ও তার বিষয়বস্তু বিস্তারিত দেওয়া হলো যা তোমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির অনেকটা সাহায্য করবে। তাই এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করলে এবং অনুশীলন রাখলে তোমরা তোমাদের কাঙ্খিত ফল পেতে পারো।


৯ম-১০ম শ্রেণি বাংলা সাহিত্য । বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর


{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

নিচে আমরা তোমাদের আরো অন্যান্য বিষয়ে শর্ট সিলেবাস দিয়েছি তোমরা চাইলে প্রত্যেকটা অধ্যায়ের উপর শর্ট সিলেবাস গুলো দেখে নিতে পারো।


বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন ১

রাজন পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। স্কুলে অবসর সময়ে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা না করে সে লাইব্রেরিয়ে বাসে বই পড়ে। এ নিয়ে রাজদের বন্ধুরা প্রায়ই তাকে বিদ্যার জাহাজ বলে কটাক্ষ করে। তার বন্ধুদের মতে ভালো ফলাফল করে উচ প্রতিষ্ঠিত হতে হলে পাঠ্যবইয়ের কোনো বিকল্প নেই।

ক. সাহিত্যচর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ কী?

খ. আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই কেন? বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকে রাজনের বন্ধুদের মনোভাবে 'বই পড়া' প্রবন্ধের সাদৃশ্যগত দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের রাজন যেন 'বই পড়া' প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশিত ব্যক্তি- মূল্যায়ন কর।

প্রমথ চৌধুরী রচিত বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল ১নং প্রশ্নের উত্তর

(ক) সাহিত্যচর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ হলো জাতির জীবনীশক্তি হ্রাস করা।

(খ) আমরা সাহিত্যের রস উপভোগ করতে প্রস্তুত নই বলে আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই।

'বই পড়া' প্রবন্ধে লেখক বলেছেন- আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই। কারণ আমাদের এই রোগ-শোক, দুঃখ-দারিদ্র্যের দেশে সুন্দরভাবে জীবন ধারণ করা সহজ নয়। জীবনকে সুন্দর করতে আমরা এখনই সাহিত্যের রস উপভোগ করতে প্রস্তুত নই। এ কারণে শিক্ষার ফল লাভ সবাই করতে চায়। এ দিক বিবেচনা করেই লেখক বলেছে আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই।

সাহিত্যের রস উপভোগ করতে প্রস্তুত নই বলেই আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই।

(গ)উদ্দীপকের রাজনের বন্ধুদের মনোভাবে 'বই পড়া' প্রবন্ধে প্রকাশিত আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষাপদ্ধতির দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞানের আলোয় মানুষ আলোকিত হয়। শিক্ষা মানুষকে আত্মিক ও মানসিক বিকাশ সাধন করে। কিন্তু যথার্থ শিক্ষা লাভ না করতে পারলে মানুষ সফল হতে পারে না।

উদ্দীপকের রাজনের বন্ধুরা মনে করে পরীক্ষায় ভালো ফল করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে পাঠ্যবইয়ের কোনো বিকল্প নেই। তাদের এই মনোভাব 'বই পড়া' প্রবন্ধে আলোচিত দেশের শিক্ষাপদ্ধতির দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রাবন্ধিক বলেছেন- সেখানে ছেলেদের বিদ্যা গেলানো হয়। তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর নাই পারুক। এর ফলে ছেলেরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণশীর্ণ হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে। উদ্দীপকের রাজনের বন্ধুদের মনোভাবে এ চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে।

সারকথা:( উদ্দীপকের রাজনের বন্ধুরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে প্রধান হিসেবে দেখেছে যা 'বই পড়া' প্রবন্ধে বর্ণিত আমাদের দেশের স্কুল- কলেজের শিক্ষাপদ্ধতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।)

(ঘ)উদ্দীপকের রাজন যেন 'বই পড়া' প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশিত ব্যক্তি- মন্তব্যটি যথার্থ।

স্বশিক্ষিত প্রাণবান মানুষ হয়ে গড়ে ওঠার জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। স্কুল-কলেজের শিক্ষাপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দেয় না। এতে স্বশিক্ষিত হয়ে ওঠার শক্তি নষ্ট হয়। এজন্য সত্যিকারের মানুষ হতে হলে সাহিত্যচর্চা করতে হবে।

উদ্দীপকের রাজন পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। স্কুলে অবসর সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা না করে সে লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ে। 'বই পড়া' প্রবন্ধের লেখক এমনই ব্যক্তিকে প্রত্যাশা করেছেন। কারণ তিনি মনে করেন সাহিত্যচর্চা শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ। সাহিত্যের মাধ্যমে জাতির মনন গঠিত হয়। লেখকের মতে এর দ্বারা জাত উন্নত হয়।

"'বই পড়া' প্রবন্দে লেখক বই পড়াকে মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ বলেছেন। আর সাহিত্যচর্চা না করলে শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না। কেননা দর্শন, বিজ্ঞান, অনুরাগ- বিরাগ, আশা-নিরাশা, সত্য-স্বপ্ন- এসবের মিলনে সৃষ্টি হয় সাহিত্য। উদ্দীপকের রাজন বই পড়তে ভালোবাসে, সাহিত্যচর্চা করতে ভালোবাসে। এ জন্য সে লাইব্রেরিতে যায়। লেখকও লাইব্রেরিকে মনের হাসপাতাল বলেছেন। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা:( উদ্দীপকের রাজন পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন গল্পের বই পড়ে। বই পড়া তার শখ। 'বই পড়া' প্রবন্ধে লেখক রাজনের মতো ছেলেদেরই প্রত্যাশা করেছেন। এই দিক থেকে মন্তব্যটি যথার্থ।)


{getCard} $type={post} $title={Read more}

বাংলা ১ম পত্র | বই পড়া গল্পটি হতে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন ২

রাকিবস্যার ক্লাসে পাঠদান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে উৎসাহিত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল, বিজ্ঞানমনষ্ক, দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ার এবং আবৃত্তি ও বিতর্কসং - বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের তাগিদ দেন। তাঁর উৎসাহে নবম শ্রেণির ছাত্রী ফাতিমা এ বছর 'বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র' আয়োজিত বই পড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ক. 'কেতাবি' অর্থ কী?

খ. সাহিত্য সাক্ষাৎভাবে উদরপূর্তির কাজে লাগে না কেন?

গ. উদ্দীপকের ফাতিমাকে কোন ধরনের শিক্ষিত বলা যায়? 'বই পড়া' প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৪ 

ঘ. " উদ্দীপকের রাকিব স্যার যেন 'বই পড়া' প্রবন্ধে উল্লিখিত যথার্থ গুরুর সার্থক প্রতিনিধি"- বিশ্লেষণ কর।

প্রমথ চৌধুরী রচিত বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল ২নং প্রশ্নের উত্তর

(ক).কেতাবি' অর্থ কেতাব অনুসরণ করে চলে যারা।

(খ).সাহিত্য সাক্ষাৎভাবে উদরপূর্তির কাজে লাগে না কারণ পরীক্ষায় পাসের জন্য সাহিত্যচর্চার প্রয়োজন নেই।

শিক্ষা সম্পর্কে আমাদের বিশ্বাস এই যে তা আমাদের গায়ের জ্বালা ও চোখের জল দূর করবে। আমাদের চিন্তা নোট ও পাঠ্যবই পড়ে পরীক্ষায় পাস করা এবং চাকরি করা। যেহেতু সাহিত্যচর্চার ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না তাই আমরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বই অর্থাৎ সাহিত্যের বই পড়তে নারাজ। কেননা তা পড়ে পরীক্ষায় পাস করে উদরপূর্তির কাজে লাগানো সম্ভব নয়।

সারকথা: (আমরা শুধু উদরপূর্তির কাজে লাগে এমন বই পড়তে প্রস্তুত। কিন্তু সাহিত্যচর্চার জন্য পাঠবহির্ভূত বই পড়তে রাজি নই।)

(গ) উদ্দীপকের ফাতিমাকে 'বই পড়া' প্রবন্ধের আলোকে সুশিক্ষিত বলা যায়।

ব্যক্তির জাগরণের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর যথার্থ শিক্ষা লাভ করতে হলে বই পড়া অপরিহার্য। বই পড়েই মানুষ যথার্থ জ্ঞান লাভ করতে পারে।

উদ্দীপকের ফাতিমা একজন কৃতী ছাত্রী। সে 'বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র' আয়োজিত বই পড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। 'বই পড়া' প্রবন্ধের লেখকের মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে ব্যাপকভাবে বই পড়া প্রয়োজন। কারণ যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার, যা বই পড়ার মাধ্যমেই সম্ভব। নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই পড়েই কেবল যথার্থ শিক্ষিত বা সুশিক্ষিত হয়ে ওঠা যায়। উদ্দীপকের ফাতিমা যেহেতু নিজের ইচ্ছায় পাঠ্যবইয়ের বাইরে অনেক বই পড়ে বই পড়া কর্মসূচিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাই আমরা তাকে আলোচ্য প্রবন্ধের আলোকে সুশিক্ষিত বলতে পারি।

সারকথা:(মানুষ স্বচ্ছন্দচিত্তে যে শিক্ষা লাভ করে সেটাই সুশিক্ষা। ফাতিমা নিজের ইচ্ছায় বই পড়ে সুশিক্ষিত হয়েছে।)

(ঘ) "উদ্দীপকের রাকিব স্যার যেন 'বই পড়া' প্রবন্ধে উল্লিখিত যথার্থ গুরুর সার্থক প্রতিনিধি"- মন্তব্যটি যথার্থ।

শিক্ষা হচ্ছে আনন্দের বিষয়। শিক্ষা আনন্দের সঙ্গে অর্জন করতে হয়। তাহলে অর্জিত জ্ঞান মানুষের কল্যাণে আসে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া বা মুখস্ত করা জ্ঞান আত্মিক ও মানসিক বিকাশের অন্তরায়।

'বই পড়া' প্রবন্ধে বলা হয়েছে শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। ছাত্রকে তা অর্জন করতে হয়। শিক্ষাগুরুর সার্থকতা শিক্ষাদানে নয়, ছাত্রকে তা অর্জন করতে সক্ষম করায়। শিক্ষক বা গুরু ছাত্রকে শিক্ষার পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, তার কৌতূহল উদ্রেক করতে পারেন, ছাত্রের বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করতে পারেন, ছাত্রের জ্ঞান পিপাসাকে জ্বলন্ত করতে পারেন। একজন যথার্থ গুরু শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধিত করেন এবং তার অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন শক্তিকে ব্যক্ত করে তোলেন। সেই শক্তির বলে শিষ্য নিজের মন নিজে গড়ে তোলে। উদ্দীপকের রাকিব স্যার এমনই একজন শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পড়তে উৎসাহিত করেন। লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তে এবং বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে তাগিদ দেন। ফাতিমা তার উৎসাহে উদ্বুদ্ধ হয়ে সফল হয়।

'বই পড়া' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক একজন যথার্থ শিক্ষাগুরুর যেসব কর্মকান্ড ও বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন তার সব বৈশিষ্ট্য উদ্দীপকের রাকিব স্যারের মধ্যে বিদ্যমান। কেননা তিনি ফাতিমাকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং তাকে বই পড়ে সুশিক্ষিত হওয়ার চেতনা জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।


বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন ৩

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তোতাকাহিনী' গল্পে রাজা শখ করে একটি তোতা পাখি কিনে সেটির শিক্ষার ব্যবস্থা করলেন। শিক্ষার জন্য বিখ্যাত সব পণ্ডিত নিয়োগ দেওয়া হলো। মহাসমারোহে তোতার শিক্ষাদান চলতে থাকল। পন্ডিতেরা সেটিকে জোর করে পুস্তকের পাতা মুখের মধ্যে পুরে দিতে থাকল। অবশেষে একদিন সেটি মারা গেল।

ক. প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী?

খ. লেখক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের উপরে স্থান দিয়েছেন কেন?

গ. উদ্দীপকে 'বই পড়া' প্রবন্ধের যে বিশেষ দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি মানুষের স্বশিক্ষিত হবার পথ রুদ্ধ করে দেয়। 'বই পড়া' প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

প্রমথ চৌধুরী রচিত বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল ৩নং প্রশ্নের উত্তর

(ক).প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম 'বীরবল'।

(খ).লেখক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের উপরে স্থান দিয়েছেন। কারণ মানুষের মানসিক সুস্থতার জন্য যে জ্ঞান ও আনন্দের প্রয়োজন হয় তা লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ে অর্জন করা যায়।

মানুষের শরীরের মতো মনও অসুস্থ হয়। তখন সেই অসুস্থতা দূর করার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। বই পড়ার মাধ্যমে মনের অসুস্থতা দূর করা সম্ভব। বই মনের সব ক্ষুদ্রতা, জড়তা, নীচতা, হীনতা দূর করে মনকে সজীব ও প্রাণময় করে তোলে। মানুষ লাইব্রেরিতে গিয়ে খুব সহজেই নিজের পছন্দ অনুসারে বই নির্বাচন করে পড়তে পারে। এতে তার মনে যে আনন্দ ও পরিতৃপ্তি আসে তাতে তার মন সুস্থ হয়ে ওঠে। এসব দিক বিবেচনা করে লেখক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের উপরে স্থান দিয়েছেন।

সারকথা: (মানুষের মনের অসুস্থতার চিকিৎসার। মনকে সমৃদ্ধ ও আনন্দময় করতে পারে। জন্য বই পড়া দরকার। লাইব্রেরিতে গিয়ে মানুষ খুব সহজেই বুচি ও পছন্দ অনুযায়ী বই পড়ে)

(গ) উদ্দীপকে 'বই পড়া' প্রবন্ধের শিক্ষাপদ্ধতির নেতিবাচক দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে।

শিক্ষা অর্জনের দিক ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু প্রয়োগের দিক এক- মানব কল্যাণ সাধন। যে শিক্ষা তা করে না, সেটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা নয় কাজেই শিক্ষা কোনো আরোপিত বা চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। শিক্ষা স্বেচ্ছায় আনন্দচিত্তে গ্রহণ করার বিষয়।

'বই পড়া' প্রবন্ধে লেখক শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিযুক্ত দিকের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। তাঁর মতে, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থী না বুঝে মুখস্থ করে পরীক্ষায় পাস করে। শিক্ষকরা তাদের জোর করে বিদ্যা গেলান। এতে করে শিক্ষা শুধু ব্যর্থ হয় না, অনেক স্থলে মারাত্মক আকার ধারণ করে। উদ্দীপকের তোতা পাখিটিকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য রাজা পন্ডিত নিয়োগ করেন। আর পন্ডিতরা পাখিটিকে জোর করে পুস্তকের পাতা মুখের মধ্যে পুরে দিতে থাকে, যার ফলে তোতা পাখিটি মারা যায়। পাখিটিকে শিক্ষাদানের এই যে পদ্ধতি তা প্রবন্ধের ত্রুটিযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থাকেই নির্দেশ করে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকে আলোচ্য প্রবন্ধের শিক্ষাপদ্ধতির নেতিবাচক দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে।

সারকথা: ('বই পড়া' প্রবন্ধে তথাকথিত শিক্ষাব্যবস্থাকে ত্রুটিযুক্ত শিক্ষা বলা হয়েছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীর শিক্ষা আনন্দবর্জিত। তাই লেখক এই শিক্ষাপদ্ধতিকে বিদ্যা গেলানোর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই বিষয়টি উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে।)

(ঘ) উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি মানুষের স্বশিক্ষিত হবার পথ রুদ্ধ করে দেয়। মন্তব্যটি যথার্থ।

বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়। শিক্ষা হচ্ছে জীবন ও জগতের কল্যাণ সাধনে আনন্দের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত ব্যবহারযোগ্য জ্ঞান। মানুষকে যথার্থ মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হলে মানবজীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সামনে রেখে শিক্ষা অর্জন করতে হয়। সুশিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে বই পড়া ও লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম।

উদ্দীপকে তোতা পাখিকে জোর করে পুস্তকের পাতা মুখের মধ্যে পুরে দিতে গিয়ে তাকে প্রাণহীন করা হয়েছে। এই বিষয়টি 'বই পড়া' প্রবন্ধে বর্ণিত আমাদের স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের জোর করে বই মুখস্থ করানোর মধ্য দিয়ে প্রাণহীন করার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। শিক্ষাপদ্ধতির ত্রুটিপূর্ণ অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকে। চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষা এবং সার্টিফিকেট অর্জনের লক্ষ্যে প্রশ্ন মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় উগরে দিয়ে আসার মধ্য দিয়ে প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হয় না। এতে করে তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক চিন্তা গঠিত হয় না। স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিতই থাকে। তারা স্কুল-কলেজের পাঠ্যবইয়ের বাইরের জগৎ- জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞানের বই পড়া থেকে বিরত থাকে। ফলে তাদের শিক্ষায় পূর্ণতা আসে না।

'বই পড়া' প্রবন্ধে লেখক স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে বই পড়ার উপযোগিতা ও পাঠকের মানসিকতা ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি এখানে প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের অন্তরায় নির্দেশ করে তা থেকে উত্তরণের জন্য বই পড়তে বলেছেন। উদ্দীপকে জোর করে তোতা পাখিকে যেভাবে শিক্ষাদানের কথা ও পরিণতি নির্দেশ করা হয়েছে সেই পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ, তাতে প্রকৃত শিক্ষা অর্জিত হয় না। এই কারণে বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা: (শিক্ষা হচ্ছে আনন্দের মধ্য দিয়ে অর্জিত জ্ঞান, যা মানুষের জীবন ও জগতের কল্যাণ সাধন করে। জোর করে চাপিয়ে মুখস্থ)


বই পড়া গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২৪

বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন ৪

বাচ্চাদের শেখানো হয়, "লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ে সে।" এই শিক্ষা কতটা প্রাসঙ্গিক? এখন তো যারা পড়াশোনা করে না, তারাই বেশি গাড়িঘোড়ার মালিক। তাহলে কী শেখাতে হবে? শেখাতে হবে এই পুরনো স্বতঃসিদ্ধ বাণী "শিক্ষার মানে হলো, দেহ, মন ও আত্মার সুষ্ঠু বিকাশ বা স্ফূর্তি।" মনুষ্যত্বের প্রকৃত ও স্বীকৃত বিকাশই শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া চাই। ধনের মানুষ আর মনের মানুষ আলাদা। বড় বিদ্বান হয়ে পায়ে হাঁটলে মানসম্মান বাড়বে। আমরা বিদ্যার বৈষয়িক ব্যবহারে আগ্রহী করে তুলছি নতুন প্রজন্মকে, অন্তরজগৎকে আলোকিত করার চিন্তা বাদ দিয়েছি।

ক. মনের আক্ষেপ প্রকাশ করতে মাঝে মাঝে কী লাগাতে হয়?

খ. 'আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উল্টো।' মানে কী?

গ. 'বই পড়া' এবং অনুচ্ছেদের মধ্যে হতাশা ব্যক্ত হয়েছে। কারণ কী?

ঘ. শিক্ষার আমৃত্র সংস্কার প্রয়োজন। মন্তব্যটির পক্ষে-বিপক্ষে মত দাও।

প্রমথ চৌধুরী রচিত বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল ৪নং প্রশ্নের উত্তর

(ক) মনের আক্ষেপ প্রকাশ করতে মাঝে মাঝে কড়ি লাগাতে হয়।

(খ) 'আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উল্টো।'- এর মানে হচ্ছে স্কুল-কলেজের প্রচলিত মুখস্থবিদ্যা মনুষ্যত্ব অর্জনের ক্ষেত্রে প্রকৃত শিক্ষার বিপরীত।

'বই পড়া' প্রবন্ধে লেখক বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। মনের প্রসারতার জন্য, জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য, প্রকৃত শিক্ষা লাভ করে মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের স্কুলে-কলেজের শিক্ষার পদ্ধতিতে সেই সুযোগ নেই। এখানে শিক্ষার সঙ্গে আনন্দের যোগ নেই, শিক্ষার্থীকে বই পড়ার জন্য লাইব্রেরিমুখী করার প্রবণতা নেই। এখানে কেবল পরীক্ষায় পাসের জন্য নোট মুখস্থ করানো হয়। ব্যাপারটা যেন অনেকটা শিশুকে জোর করে খাদ্য গেলানোর মতো অবস্থা। কেননা শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে পাঠটি টি পুরোপুরি না বুঝে কেবল পাঠ মুখস্থ করে। ফলে তাদের মানসিক বিকাশ এবং চিন্তাশক্তির পূর্ণ প্রকাশ লক্ষ • করা যায় না। তাই এই শিক্ষা বই পড়ে প্রকৃত শিক্ষিত হওয়ার বিপরীত বা উলটো।

সারকথা: (প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় মনুষ্যত্ব অর্জনের ব্যবস্থা না থাকায় লেখক এই শিক্ষাকে ত্রুটিযুক্ত এবং প্রকৃত শিক্ষার উলটো বলে মনে করেছেন।)

(গ) শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য ভুলে গিয়ে মূল্যবোধহীন শিক্ষায় তৎপর হওয়ার ফলে 'বই পড়া' প্রবন্ধে এবং অনুচ্ছেদে হতাশা ব্যক্ত হয়েছে।

শিক্ষা হচ্ছে জীবন ও জগতের কল্যাণ সাধনে ব্যবহারযোগ্য আনন্দের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত জ্ঞান। এই জ্ঞান অর্জনে বই পড়ার বিকল্প নেই।শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়ে বা নোট মুখস্থ করে সেই জ্ঞান অর্জিত হয় না। আর সার্টিফিকেট পাওয়ার শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা নয়।

উদ্দীপকে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে গিয়ে অর্থের নিগড়ে বন্দি থাকার শিক্ষা গ্রহণের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে মানবিক মূল্যবোধহীন শিক্ষার প্রসারের ফলে মানুষ কীভাবে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে তার ইঙ্গিত করা হয়েছে এবং এ কারণে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে। 

উদ্দীপকের এ বিষয়টি 'বই পড়া' প্রবন্ধে প্রতিফলিত লেখকের আশাহত হওয়ার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। লেখক এখানে স্কুল-কলেজের শিক্ষাদান পদ্ধতির সমালোচনা করে প্রকৃত শিক্ষার জন্য বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। শিক্ষাকে যান্ত্রিক কিংবা অর্থ উপার্জনের উপায় মনে করলে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যহত হয়। শিক্ষার এই অবস্থা প্রত্যক্ষ করে লেখক ব্যথিত হয়েছেন। অনুচ্ছেদেও সেই দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। এ কারণেই বলা হয়েছে, প্রচলিত শিক্ষা মনুষ্যত্ব অর্জনের অন্তরায়। অথচ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মনুষ্যত্বের বিকাশ সাধন।

সারকথা: (শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য মনুষ্যত্ব অর্জন। কিন্তু প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় সেই সুযোগ না থাকার কারণে প্রবন্ধ ও অনুচ্ছেদে হতাশা ব্যক্ত হয়েছে।)

(ঘ) শিক্ষার আমূল সংস্কার প্রয়োজন। মন্তব্যটির পক্ষে-বিপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।

শিক্ষা মানুষের আত্মিক ও মানসিক বিকাশ সাধন করে। শিক্ষা দ্বারা মানুষ জগতের নানা নিয়ম অনুষঙ্গের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারে। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ যেকোনো পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশের উত্তম সম্পদ। 'বই পড়া' প্রবন্ধে লেখক শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক দিক নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য বই পড়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। বই মানুষকে মনুষ্যত্ববোধ অর্জনে সহায়তা করে। 

যথার্থ শিক্ষিত হওয়ার জন্য মনের যে প্রসারতা দরকার মানুষ তা বই পড়ার মাধ্যমে অর্জন করতে পারে। অথচ স্কুল-কলেজের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় সেই সুযোগ নেই। এখানে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তাতে প্রকৃত শিক্ষা লাভ হয় না। শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট অর্জনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের চিন্তায়ই বেশি মগ্ন থাকে। মনুষ্যত্ব অর্জনের কথা ভাবে না। উদ্দীপকের বস্তা মানুষের এই অধঃপতন দেখে আহত হয়েছেন। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার সাধন করা অতীব জরুরি।

'বই পড়া' প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপর স্থান দিয়েছেন। তাঁর কাছে পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক জিনিস নয়। তাঁর কাছে যে শিক্ষা মানুষকে ভিতরে-বাইরে সমানভাবে মানুষ করে তোলে না, সেই শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা নয়। অন্যদিকে পাস করার জন্য শিক্ষার্থীরা যে নোট মুখস্থ করে তা তাদের মেধা বিকাশের অন্তরায়। এসব কারণে শিক্ষার আমূল সংস্কার প্রয়োজন।


বই পড়া প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্ন ১: প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী?

উত্তর : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘বীরবল’।

প্রশ্ন ২: বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক কে?

উত্তর : বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হলেন প্রমথ চৌধুরী।

প্রশ্ন ৩: মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ কোনটি?

উত্তর : মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শখ হচ্ছে বই পড়া।

প্রশ্ন ৪: শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ কী?

উত্তর : শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ হলাে সাহিত্যচর্চা।




প্রশ্ন ৫: সুশিক্ষিত লােক মাত্রই কী?

উত্তর : সুশিক্ষিত লােক মাত্রই স্বশিক্ষিত ।

প্রশ্ন ৬: প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম কী ছিল?

উত্তর : প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
 

বই পড়া সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর


প্রশ্ন ৭: সাহিত্যচর্চার জন্য কী প্রয়ােজন?

উত্তর : সাহিত্যচর্চার জন্য লাইব্রেরির প্রয়ােজন।

প্রশ্ন ৮: দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়, কার হয় না?

উত্তর : দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়, আত্মার মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয় না।

প্রশ্ন ৯: ‘পদচারণ’ কার লেখা?

উত্তর : ‘পদচারণ’ প্রমথ চৌধুরীর লেখা।

প্রশ্ন ১০: কী ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই?

উত্তর : বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চার উপায়ান্তর নেই।

প্রশ্ন ১১: লেখক কোনটিকে স্কুল-কলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন?

উত্তর : লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন।

প্রমথ চৌধুরী রচিত বই পড়া প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর


প্রশ্ন ১২: লেখক লাইব্রেরিকে কিসের ওপরে স্থান দিয়েছেন?

উত্তর : লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের ওপরে স্থান দিয়েছেন।

প্রশ্ন ১৩: শিক্ষা গায়ের জ্বালা ও চোখের জল দুই-ই দূর করবে বলে কার বিশ্বাস?

উত্তর : শিক্ষার ফল লাভে উদ্বাহু ব্যক্তির।

প্রশ্ন ১৪: কে শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধিত করেন?

উত্তর : যিনি যথার্থ গুরু ।

প্রশ্ন ১৫: কিসের জন্য আমরা সকলে উদ্বাহু?

উত্তর : শিক্ষার ফল ।
Previous Post Next Post