মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করুন

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করুন

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম

প্রতিদিন আমারা অসংখ্য প্রশ্ন পেয়ে থাকি। তার মাঝে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় যেই প্রশ্নটি, তা হলো কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায়? 


হ্যাঁ, আজকে আমরা কথা বলবো কিভাবে মোবাইল দিয়ে আয়-রোজগার করা যায়। 

মোবাইল দিয়ে আয় করার অনেকগুলো উপায় আছে। অনেকেই বলে থাকে মোবাইল দিয়ে আয় করা যায় না। আসলে বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা। আগে তাহলে আমার উদাহারন দিয়ে বুঝাচ্ছি। আমি এখন মোবাইল দিয়ে এই লেখাটি লেখছি আর যেই মোবাইল দিয়ে আমি এখন লেখছি এই মোবাইল এর দাম যতো টাকা এরচেয়েও বেশি টাকা আমি এই মোবাইল দ্বারা ইনকাম করেছি। তাহলে বুঝতেই পারছেন মোবাইল দ্বারা যে আয় করা সম্ভব।


তাহলে চলুন মোবাইল দিয়ে কিভাবে আয় করা যায়, সেই বিষয়গুলো আলোচনা করা যাক।


মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়

মোবাইল দিয়ে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে, ব্লগিং

ব্লগিং কি?

ব্লগিং হলো অনলাইনে লেখালেখি করা। আপনি যদি এই লেখাটি এখন পড়ে থাকেন, তাহলে আপনি একটি ব্লগ পড়ছেন। 

আপনি গুগলে কিছু জানতে চেয়ে সার্চ করছেন। সার্চ করে যেই রেজাল্ট গুলো পাচ্ছেন, সেগুলো কোনো না কোনো ব্লগের লেখা। 

ব্লগিং করে আয় করবো কিভাবে?

আয় করার অনেকগুলো উপায় আছে তারমাঝে উল্লেখযোগ্য হলো, গুগল এডসেন্স, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পন্সর। গুগল এডসেন্স ছাড়াও এখন অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেখান থেকে আয় করা যায়।


ফেসবুক মার্কেটিং করে আয়

ফেসবুক মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটিং হলো ফেসবুকের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবার মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপন রান করা। 

প্রফেশনাল ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করেও আয় করতে পারেন। 


ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করে আয়

প্রফেশনাল ওয়ে অবলম্বন করে, ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুলে কমপ্লিট SEO করে আয় করতে পারেন।


ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়

ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারেন।

ইউটিউবের আয়ের উৎস ব্লগের মতোই। গুগল এডসেন্স বা স্পন্সর করে আয় করতে পারেন।


ইউটিউবিং করার জন্য এখন বেশিরভাগ ইউটিউবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে।

মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায় এবং ভয়েস এডিটিং করা যায়।

নোট:- মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে কাইনমাস্টার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।


ইউটিউব SEO করে আয়

ক্লায়েন্টের ইউটিউব চ্যানেল অথবা ভিডিও SEO করার কাজ নিতে পারেন। ইউটিউব SEO যদি প্রফেশনাল ভাবে পারেন মাস শেষে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা খুব বেশি কঠিন নয়।


কানভা দিয়ে ডিজাইন 

কানভা মোবাইল অ্যাপ প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিন। তারপর কানভা দিয়ে ডিজাইন করুন। ইউটিউবে ভিডিও দেখুন এবং ব্লগ পড়ুন। কিভাবে কানভা দিয়ে ডিজাইন করা যায়। 

কানভা দিয়ে যদি প্রফেশনাল ভাবে ডিজাইন করতে পারেন, মাস শেষে বাবার কাছে হাত খরচের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।

অনলাইনে টিউশন করে আয়

বর্তমান বিশ্বকে প্রযুক্তি ছাড়া কল্পনা করা কঠিন। প্রযুক্তির যুগে পড়াশোনায় এসেছে বিশাল পরিবর্তন। বর্তমানে সবকিছু ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। 

অনলাইন এখন জ্ঞানের ভান্ডার। 

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইনে টিউশনি, কোর্স, কোচিং এসব বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

আপনিও শুরু করে দিতে পারেন, অনলাইন টিউশন।


ফেসবুক বিজনেস 

ফেসবুক বিজনেস পেজ ক্রিয়েট করে, প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা শীর্ষস্থানে আছে। সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমরা ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। 

বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ২০ লাখ। সর্বোচ্চ ফেসবুক ব্যবহারকারীর দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। 

তাহলে বুঝতেই পারছেন কতো সহজে আপনি কোটি কোটি মানুষের কাছে আপনার ব্যবসায় সম্পর্কে জানাতে পারবেন। 

আগে প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন। তারপর টার্গেটেড অডিয়েন্স খুঁজুন। তারপর প্রোডাক্ট গুলোর মার্কেটিং করুন টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে। ব্যস! 


ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

আপনি অনলাইনে অনেক অনেক কাজ করতে পারেন মোবাইল দিয়ে। শুধু খুঁজে নেওয়ার আগ্রহ থাকতে হবে। ল্যাপটপ দিয়ে যেই কাজ ৫ মিনিটে করা যায় মোবাইল দিয়ে সেটা করতে একটু সময় বেশি লাগবে , কিন্তু এখন মোবাইল দিয়েও অনেক কাজ করা সম্ভব।


ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করুন

বর্তমানে যেই বিষয়টির যাত্রা খুব ভালোভাবে শুরু হতে হচ্ছে, তা হলো ডিজিটাল প্রোডাক্ট।  আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ডিজিটাল প্রোডাক্টের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল হতে যাচ্ছে। আই রিপিট ডিজিটাল প্রোডাক্টের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল হতে যাচ্ছে। 

আপনিও শুরু করে দিতে পারেন, ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরী করা।

কয়েকটি ডিজিটাল প্রোডাক্টের নাম

  • কোর্স
  • ভিডিও
  • অডিও
  • ই-বুক
  • টেমপ্লেট 
  • ফটো
  • ফ্রন্ট 
  • লোগো
  • ডিজিটাল আর্ট
  • গ্রাফিক্স 
  • এনিমেশন 
  • সফটওয়্যার 
  • অনলাইন ম্যাগাজিন

এছাড়াও হাজারো ডিজিটাল প্রোডাক্ট রয়েছে।


মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম  করার আরো উপায় হলো, বিভিন্ন অ্যাপে অ্যাড বা ভিডিও দেখে আয়


আমরা মাঝে মাঝে দেখতে পাই বিদেশি কিছু অ্যাপ আছে, যারা ভিডিও বা অ্যাড দেখার বিনিময়ে অল্প পরিমান সেন্ট দিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন কাজ করলে অল্প পরিমানে অর্থ পাওয়া যায়।

আমার পরামর্শ হলো এসব থেকে দূরে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই পর্যন্ত কোনো অ্যাপ বেশিদিন ছিলো না। তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়ে গেলে হঠাৎ দেখা যায় অ্যাপটা গায়েব। অথবা পেমেন্ট করতেছে না।

এমন কিছু শিখুন যার চাহিদা আগামী দশবছর পর্যন্ত থাকবে। যার চাহিদা দিন দিন আরো বাড়বে।

আমি রিকমেন্ড করবো, ইউটিউব ভিডিও বানাতে পারেন, ফেসবুক বিজনেস করতে পারেন, ব্লগিং করতে পারেন, ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। এগুলোর বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ দুটোই বেশ ভালো।


ধন্যবাদ!

Previous Post Next Post