এখন কার সময় অনেক দাম্পত্য জীবনে অশান্তি দেখা যায়। দাম্পত্য জীবনের লেগে থাকে কলহ, হতাশা, অস্থিরতা। এসব কিছু বিবেচনা করে দেখা যায় এর পিছনে একটাই কারণ সেটি হল পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত হওয়া।
অনেকেই সামাজিক লোক লজ্জার ভয়, লোকে শুনলে কি বলবে সে কথা ভেবে এ বিষয়টি সামনে আনে না এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেয় না।
দ্রুত বীর্যপাতের লক্ষণসমূহ
DMS - ৫ অনুসারে একজন ব্যক্তি যদি লিখিত সমস্যার একটি সমস্যা ও অনুভব করতে পারে তাহলে তার দ্রুত বীর্যপাতের অসুস্থতা লক্ষণ আছে এবং সেটা তাকে সঠিক সময় চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দ্রুত বীর্যপাতের লক্ষণসমূহ কি কি।
- স্বামী স্ত্রীর মিলনের সময়ে এক মিনিটের ভিতরেই বীর্যপাত।
- যদি এই সমস্যা ছয় মাসের অধিক সময় ধরে চলতে থাকে।
- ৭৫ থেকে ১০০% আগেই যদি বীর্যপাত হয়ে যায়।
- সঙ্গির মধ্যে যৌন অসন্তোষ এবং হতাশার সৃষ্টি।
- কোন মানসিক বা শারীরিক রোগের লক্ষণ।
- কোন মাদকদ্রব্য সেবন বা ওষুধ সেবন যার কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞদের তালিকা
দ্রুত বীর্যপাতের কিছু কারণ
দ্রুত বীর্যপাত অনেক ধরনের কারণেই হয়ে থাকে তার মধ্যে দুইটি ব্যাপার আছে চলুন জেনে নেওয়া যাক ওই দুইটি ব্যাপার কি কি এবং এর প্রতিকার।
- জৈবিক কারণ।
- মানসিক কারণ।
জৈবিক কারণে দ্রুত বীর্যপাতের কিছু লক্ষণ
কিছু কিছু জৈবিক কারণে ও সঙ্গী দ্রুত বীর্যপাত করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই জৈবিক কারণ গুলো কি কি।
- ডায়াবেটিস।
- থাইরয়েডের সমস্যা।
- বিভিন্ন হরমোন জনিত সমস্যা।
- হৃদরোগ।
- মূত্র নালিতে সংক্রমণ।
- বিভিন্ন ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- কোন প্রকার সার্জারি বা চিকিৎসার কারণে সঙ্গীর স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
মানসিক কারনে দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা
- দুশ্চিন্তা।
- মানসিক চাপ।
- ডিপ্রেশন।
- শারীরিক দুর্বলতা।
- সঠিক যৌন শিক্ষার অভাব থাকা।
- সেক্সুয়াল রিলেশন সম্পর্কে ভুল ধারণা থাকা।
- কম বয়সী সহবাস।
- অতিরিক্ত প্রত্যাশা থাকা।
- সেক্সচুয়াল অ্যাবিউ।
- দাম্পত্য জীবনে কোলাহল, অশান্তি।
- সঙ্গী চাকরি ব্যবসার জন্য দূরে থাকা।
- মাদকাগ্রস্ত বা নেশাগ্রস্ত হওয়া।
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসা ট্যাবলেট
দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসার এখন অনেক ঔষধ বের হয়েছে। যার মধ্যে দুইটা শ্রেণীতে বিভক্ত করে ট্যাবলেট দেওয়া হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দুইটা শ্রেণী কি কি।
সেক্সচুয়াল ডিসফাংশন ঔষধ
এই ওষুধ গুলি আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করবে। সহজেই আপনার বীর্যপাত ঘটবে না। বীর্য পাতে অনেক দীর্ঘ সময় নেবে। কিছু কিছু সেক্সচুয়াল ওষুধের মধ্যে রয়েছে। সিলডানাফিল, টাডালফিল, ভাসারনাফিল।
অ্যান্টিডিপ্রেশন সেক্সচুয়াল ওষুধ
অ্যামিট্রিপটাইলিন (এল্যাভিল), ইমিপ্রমিন (ট্রিপানিল), নোরট্রাইপটাইলিন (প্যারামিল)
সেক্সচুয়াল ডিসফাংশন ঔষধ খেলে কি হয়?
সেক্সচুয়াল ডিসফাংশন ওষুধ খেলে দ্রুত বীর্যপাতের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই ওষুধটি শরীরে রক্তে পেনিস এর প্রবাহ বাড়ায় যার কারনে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে না।
এটি পুরুষের লিঙ্গ কে শক্ত করে এবং দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে দেয় না। সেক্সচুয়াল ডিসফাংশন ঔষধ গুলি সাধারণত প্রতিদিন খেতে হয়।
অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস ওষুধ খেলে কি হয়?
Antidepressants ওষুধ খেলে দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ হয়। এটি সেরোট্রিনের মাত্রা বাড়াই শরীরে যার ফলে শরীরে দ্রুত বীর্যপাত হওয়ার রোধ হয়। যা মানসিক অবস্থা এবং যৌন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই ওষুধটি সাধারণত প্রতিদিন খাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞদের তলিকা
দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ওষুধগুলি সেবনের ফলে শরীরে নানা রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এবং শরীর অসুস্থ হতে থাকে। তার মধ্যে লক্ষ্য নিয় অসুস্থতা হলো। মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, মুখ লাল হওয়া, পেশী ব্যথা।
Antidepressants ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, এমন যৌন সক্ষমতার সমস্যা।
দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করার ট্যাবলেটের কার্যকারিতা
দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ করার অনেক ট্যাবলেট রয়েছে। এই ট্যাবলেট গুলো ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিভেদে পরিবর্তন ঘটায়। কিছু কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের সময় এই ওষুধগুলো তো বীর্যপাত হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটি নাও হতে পারে। ওই জন্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা খুবই দরকার।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ নিয়ে একজন ডাক্তারের মতামত
দ্রুত বীর্যপাত বন্ধ নিয়ে একজন ডাক্তারের মতামত
আপনার যৌন মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে। তাহলে সেটি কি কারণে ঘটছে সেটি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা। তখন সে অনুযায়ী এই রোগের চিকিৎসা খুব সহজেই করা যায়।
৯০/ ৯৫ ভাগ পুরুষ এ রোগের হাত থেকে স্বাভাবিক জীবনে চিকিৎসার মাধ্যমে মাধ্যমে খুব সহজেই ফিরে যেতে পারে। তাই লোক ও লজ্জার ভয়ে চুপ করে না বসে থেকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
ডাক্তার মোঃ মুরাদ হোসেন
- ডার্মাটোলজিস্ট ও এস্থেটিক সার্জন
- কনসালটেন্ট, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ
- কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল
- উত্তরা,ঢাকা-১২৩০।