প্রবাসীদের জন্য হোম লোন | প্রবাস বন্ধু লোন | Probashi loan
একটি সুন্দর বাড়ি প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন। নিজের কাছে নগদ টাকা না থাকলে ও অনেকে লোন নিয়ে এ স্বপ্ন পূরন করছে। বর্তমানে বাড়ি তেরীর ক্ষেত্রে, বিভিন্ন ব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে আরেকটি ভালো পদক্ষেপ যুক্ত হযেছে, বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রে প্রবাসীদের ঋণের ব্যবস্থা।
{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}
আজকের এ আর্টিকেলটি পড়লে, প্রবাসীদের বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রে হোম লোন নেবার পদ্ধতি, হোম লোন নেবার সুবিধা, কিভাবে এটি আমাদের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখবে, সে সব বিষয় নিয়ে জানানো হবে।
প্রবাসীদের জন্য হোম লোন
বাংলাদেশী প্রবাসীরা দেশে ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে পাবেন ঋণ। রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) প্রবাসীদের দেশে বাড়ি তৈরির জন্য সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন কর্মসূচির নাম দিয়েছে " প্রবাস বন্ধু "। ১ জুলাই থেকে এ ঋণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে এই কর্মসূচি চালু হলেও আপাতত সব প্রবাসী ঋণ নিতে পারবে না।
কিছু নির্দিষ্ট দেশের প্রবাসীরা এই ঋণ নেয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা দেশের বাড়ি নির্মাণের জন্য এই ঋণ নিতে পারবে।
বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে সংস্থাটির থেকে ঋণ নেওয়া সময় তিনটি শ্রেণীতে ঋণ নেওয়া যাবে। তিনটা ভাগ হলো একক ঋণ, গ্রুপ্র ঋণ, ফ্ল্যাট ঋণ। সংস্থাটি থেকে ঋণ নিলে সুদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাড়ি নির্মাণ করলে যে সুদের হার হয় ফ্ল্যাট কিনলে তার চেয়ে বেশি সুদের হার দিতে হবে।
Read More : সহজ কিস্তিতে লোন - সহজ কিস্তি বাংলাদেশ
ঋণ পরিশোধ করা যাবে ৫, ১০, ১৫,২০,২৫ বছর মেয়াদে। মাসিক কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ যদি বেশি হয় তবে সেক্ষেত্রে কিস্তির পরিমাণ কমে যাবে।
এই সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ চক্রবর্তী। প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য এই প্রথম হোম ঋণ কর্মসূচি চালু হলো। এ ঋণ কর্মসূচি চালুর ফলে দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে অনেক বিদেশী প্রবাসী। হোম লোন চালুর ফলে, পরিবারের সদস্য এবং স্বজনেরা ভালো পরিবেশে বসবাসের সুযোগ পাবে।
হোম লোন পাবার শর্ত
হোম লোন পাওয়ার জন্য প্রবাসীদের কিছু শর্ত মানতে হবে। যেমন যিনি আবেদন করবেন অর্থাৎ আবেদনকারী প্রবাসীকে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি আবেদনকারী প্রবাসীকে একটি ঝামেলা বিহীন জমির মালিক হতে হবে। এছাড়াও হোম লোন পাওয়ার জন্য প্রবাসীদের আরেকটি শর্ত হলো তাকে অবশ্যই বিদেশে কমপক্ষে তিন বছর থাকতে হবে।
বাংলাদেশের যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে আবেদনকারী প্রবাসীর থাকতে হবে সঞ্চয়ী একাউন্ট। এবং প্রাপ্ত ঋণে তৈরি করা বাড়ি বা ফ্লাটের তত্ত্বাবধানের জন্য একজনকে নিয়োগ করতে হবে, নিয়োগ করা লোককে অবশ্যই বাংলাদেশী হতে হবে।
হোম লোন নেয়ার জন্য সংস্থাটির কিছু শর্ত আছে।বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে মোট যত টাকা ব্যয় হবে তার ৭০% সংস্থাটি হোম লোন হিসেবে দিবে। বাকি ৩০% ব্যক্তি নিজ বিনিয়োগে বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। ঋণের টাকাও সংস্থাটি একসাথে দিবে না এক্ষেত্রে কয়েকটি কিস্তিতে সংস্থাটি টাকা দিবে।
হোম লোন নিতে কিভাবে আবেদন করবে
ঋণের আবেদনের জন্য সংস্থাটি কে বেশ কিছু তথ্য এবং ডকুমেন্ট সরবরাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমত ঋণের যে আবেদন পত্র সেটি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে রেসিডেন্ট পারমিট এবং চাকরির সনদসহ সব কাগজপত্র দূতাবাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে প্রত্যয়ন পত্র নিতে হবে।
এখানে কাগজপত্র গুলো ভেরিফাই করার ক্ষেত্রে কেউ চাইলে সংস্থাটির এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমেও কাগজপত্র গুলো যাচাই করে নিতে পারি
হোম লোনের সুদের হার
মাসিক কিস্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট সুদের হার দিয়েই এ ঋণ ধীরে ধীরে পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ১৫ বছর হলে, প্রতি এক লাখ টাকায় ১০% সুদ দিতে হবে। যার ফলে মাসিক কিস্তি দাঁড়াবে ১ হাজার ৭৫ টাকা।
- ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদের হার ৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ হলে, মাসিক কিস্তি দাঁড়াবে ১ হাজার ৪৪ টাকা ২০ পয়সা।
- আবার সুদের হার ৯ শতাংশ হলে, মাসিক কিস্তি দাঁড়াবে ১ হাজার ১৪ টাকা।
- সুদের হার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ হলে, মাসিক কিস্তি হবে ৯৮৪ টাকা ৭০ পয়সা।
প্রবাসীদের হোম লোন তিন ধরনের হয়ে থাকে।
একক ঋণ
- ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে বাড়ি তৈরির জন্য সুদের হার থাকবে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সুদে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত একক ঋণ দেওয়া হবে ।
- মেট্রোপলিটন এলাকা ছাড়া অন্যান্য সকল বিভাগীয় ও সদর এলাকায় বাড়ি তৈরীতে সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ ৬০ লাখ টাকা, এক্ষেত্রে সুদের হার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
- গ্রাম এরিয়ায় বাড়ি নির্মাণে ঋণের পরিমাণ ৫০ লাখ, এক্ষেত্রে সুদের হার হবে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
গ্রুপ ঋণ
গ্রুপ ঋণ এর ক্ষেত্রে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় সুদের হার হবে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা গ্রুপ ঋণ দেবে সংস্থাটি । বিভাগীয় ও সদরে বাড়ি নির্মাণে সুদের হার হবে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
Read More : গরুর খামার করতে ব্যাংক লোন কিভাবে নিবেন (২০২৪)
এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণ দেওয়া হবে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত। গ্রাম্য এলাকায় বাড়ি নির্মাণে সুদের হার হবে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে ঋণ নেওয়া যাবে ৪০ লাখ টাকা।
ফ্ল্যাট ঋণ
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ফ্ল্যাট কিনতে ঋণ নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ টাকা । এ ক্ষেত্রে সুদের হার হবে ১০ শতাংশ। বিভাগীয় ও সদরে ফ্ল্যাট কেনায় ঋণ নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা ।
এক্ষেত্রে সুদের হার হবে ১০ শতাংশ। আর গ্রামীন এরিয়ায় ফ্ল্যাট কেনার ঋণ নেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা।এক্ষেত্রে সুদের হার হবে ৯ শতাংশ।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে, সকল শর্ত মেনে, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে আপনার এরিয়ায় Probashi Kallyan Bank এ যোগাযোগ করতে হবে। ব্যাংকে গিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে আপনার ডকুমেন্টগুলো যুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে ।
এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে লোন নিতে চাইলে, Loan Application Form ডাউনলোড করতে হবে, তারপর আপনার তথ্য দিয়ে সেটি ফিলআপ করে আপনার এরিয়ার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ওয়েবসাইট
উপরে আমাদের দেওয়া ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনি না হোম লোনের জন্য খুব সহজে আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনি বাংলাদেশের বাইরে অন্য কোন দেশে হয়ে থাকেন এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার দেশে বাংলাদেশে হোম লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২০২৪ সালের আপডেট তথ্য
২০২৪ সালের ঋণ স্কিম চালু করেছে:
- অভিবাসন ঋণ
- পুনর্বাসন ঋণ
- উদ্যোক্তা ঋণ
- শিক্ষা ঋণ
- চিকিৎসা ঋণ
হোম লোনের জন্য কি কি লাগে
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ৩ কপি ছবি।
- জমিনদারের ভোটার আইডি কার্ডের কপি এবং ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- আবেদনকারী ও জমীনদার এর পৌরসভা বা ইউনিয়ন কর্তৃক প্রাপ্ত নাগরিক সনদপত্র।
- ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি প্রয়োজন হতে পারে।
- সম্পত্তির ডকুমেন্টস এর ফটোকপি।
- ঋণ গৃহীতার বিনিয়োগের ঘোষণাপত্র
- ঋণ গৃহীতার স্বাক্ষর সহ তার ব্যাংক একাউন্টের ৩টি চেক পাতা।
- বিদেশ সংক্রান্ত ডকুমেন্টস।
- প্রকল্পের সকল তথ্য সহ গত ২ বছরের আয় ও ব্যয়ের হিসাব।
কোন কোন ব্যাংক দিবে প্রবাসী লোন
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সাতটির ও বেশি ব্যাংক প্রবাসীদের ঋণ দিচ্ছে। সবচেয়ে সুবিধাজনক বিষয় হলো, ঋণের টাকার বিপরীতে ব্যাংককে কোনো জায়গা-জমিও বন্ধক দিতে হচ্ছে না।
প্রধানত প্রবাসী কল্যান ব্যাংক বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রবাসীদেরকে ঋণ দিয়ে থাকে। ২০১১ সালে এই ব্যাংকটি গঠন করা হয়েছিল মূলত প্রবাসীদের কল্যাণের জন্য এবং প্রবাসীদেরকে ঋণ দেওয়ার জন্য।
প্রবাসী কল্যান ব্যাংক ছাড়াও বাংলাদেশের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক প্রবাসীদেরকে ঋণ দিয়ে থাকে। সোনালী, অগ্রণী, পূবালী ও এনআরবি ব্যাংক অন্যতম। এছাড়াও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকও প্রবাসীদের ঋণ দিয়ে থাকে।
সোনালী ব্যাংকর
সোনালী ব্যাংকের ঋণ নিলে, সেটা পরিশোধের সময়কাল সর্বোচ্চ তিন বছর। বিদেশে যাওয়ার পরে, সেটি পরিশোধ করা যাবে। এক্ষেত্রে কেউ ২ বছর আবার কেউ ৩ বছরের মধ্যে এটি পরিশোধ করতে পারবে। দুই বছরের ক্ষেত্রে ২৪ কিস্তি বা তিন বছরে বা ৩৬ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রত্যেক মাসে কিস্তি দিতে হবে একবার করে।
সোনালি ব্যাংক সরল সুদ নেয়। অগ্রণী ব্যাংকও এক অঙ্ক সুদ নেয়। অগ্রনী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে হয় দেড় বছরে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে হিসেব করে কিস্তি দিতে হবে।
পূবালী ব্যাংক
অপরদিকে পূবালী ব্যাংক আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। এ ঋন পরিশোধের মেয়াদকাল ২ বছর। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক এবং অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকগুলো লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে।
এছাড়াও এ ব্যাংকগুলো ১২, ২৪ ও ৩৬ মাসিক কিস্তিতে তা পরিশোধের সুযোগ রেখেছে। বিদেশে যাওয়ার ৩ মাস পর থেকে ঋণের মাসিক কিস্তিতে দিতে হয় এ ব্যাংককে।
কারা পাবেন প্রবাসীদের ঋন
মূলত বিদেশে থাকেন বাংলাদেশী প্রবাসীরা এই ঋণ নিতে পারবেন। এ ঋণ নেয়ার জন্য আপনার বেশ কিছু বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। ব্যাংক কোনো ভিসার ব্যবস্থা করা হবে না। ঋণ দেওয়া হবে ভিসার মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে।
এছাড়া ও আরো লাগবে কর্মরত কোম্পানির নিয়োগপত্র, আরো লাগবে আবেদনকারীর সত্যায়িত তিন কপি ছবি, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা, পৌরসভা থেকে নেওয়া সনদ, পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর। বিদেশে যাওয়ার পরে দুই বছরে ২৪ কিস্তি বা তিন বছরে বা ৩৬ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রতি মাসে কিস্তি দিতে হবে একটি করে।
ইসলামি ব্যাংক থেকে হোম লোন নেবার পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করে হোম লোনের আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করবেন অনলাইনেই ফিলআপ করবেন । সেখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, আয়ের বিবরণ, ঋণের পরিমাণ, সম্পদের বিবরণ এগুলো ফিলআপ করবেন, এরপর সেটি অফিসে জমা দিবেন নয়ত অনলাইনে সাবমিট করবেন।
ব্যাংক সেগুলো দেখে ঋণ এর জন্য অনুমোদন দিবে। অনুমোদন পেলে, লোনের সময়সীমা, মাসিক পরিশোধের পরিমাণ বা কিস্তির পরিমান সুদের হার ইত্যাদি সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে।
ইসলামী ব্যাংক থেকে বাড়ি নির্মাণের জন্য লোনের পরিমাণ, বাড়ি নির্মাণের সময়, যেই ব্যয় হবে সেটির নির্দিষ্ট শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, যেমন ৭০%, ৮০%, অথবা ৯০%।
অর্থাৎ আপনার বাড়ি নির্মাণের সময় যত টাকা ব্যয় হবে তার ৭০% কিংবা ৮০% বা ৯০% ব্যাংক ঋণ দিবে। বাকি অংশ আপনার ব্যক্তিগত বিনিয়োগ থেকে খরচ করতে হবে।
প্রবাসী আবাসিক ঋণ চালুর উদ্দেশ্য
- বি এইচ বি এফ সি দেশের গৃহায়নের একমাত্র সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে বাসস্থান অন্যতম। মানুষের এই চাহিদা পূরণের জন্যই ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে
- প্রবাসী বাংলাদেশীরা যাতে সহজে এ ঋণ ঘর তৈরি করতে পারে
- আধুনিক নাগরিক সুবিধা দিতে ও বহু বাড়ি নির্মাণ করতে এ ঋণ দিয়ে থাকে
- প্রবাসী বাংলাদেশীদের কষ্টে অর্জিত অর্থ যাতে যথাযথভাবে বিনিয়োগ হয় তাই তারা এই ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়
- আবাসন নির্মাণের সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তুবায়নের লক্ষ্যে সংস্থাটি এ ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই
- দেশের অর্থনীতিকে আরো বৃদ্ধি করতে এ ঋণের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
কার্যক্রম চালুর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন
এই ঋণ কার্যক্রম অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
- জেডিপি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে
- রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে
- দেশে নির্মাণ কাজের সংখ্যা বাড়বে
- কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে
- সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ সম্প্রসারিত হবে
- প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়বে
- মানুষের জীবন মানের যথেষ্ট উন্নতি হবে
প্রবাসে বসে বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের আবেদন করবে
বাংলাদেশী প্রবাসীরা দেশে ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে পাবেন ঋণ। রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) প্রবাসীদের দেশে বাড়ি তৈরির জন্য সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন কর্মসূচির নাম দিয়েছে " প্রবাস বন্ধু "। ১ জুলাই থেকে এ ঋণ কর্মসূচি চালু হয়েছে। প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে এই কর্মসূচি চালু হলেও আপাতত সব প্রবাসী ঋণ নিতে পারবে না। কিছু নির্দিষ্ট দেশের প্রবাসীরা এই ঋণ নেয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা দেশের বাড়ি নির্মাণের জন্য এই ঋণ নিতে পারবে।
- দুবাই থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- কানাডা থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- জাপান থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- UK থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- ওমান থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- সৌদিআরব থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- কাতার থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- USA থেকে কিভাবে প্রবাসীরা হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
- UAE থেকে প্রবাসীরা কিভাবে হোম লোনের জন্য এপ্লাই করবে?
প্রবাসী বন্ধু ঋণ এখন প্রবাসীরাও নিতে পারবেন হোম লোন
প্রবাসী বন্ধু হল বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) দ্বারা প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য চালু করা একটি আবাসন ঋণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ২০০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন (একক ব্যক্তির ক্ষেত্রে) বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য। ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ২৫ বছর এবং সুদের হার সর্বনিম্ন ৮%।
উদাহরণ:ধরুন, আপনি একজন প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আপনি বাংলাদেশে একটি ফ্ল্যাট কিনতে চান। ফ্ল্যাটের দাম ১৫০ লাখ টাকা। আপনি প্রবাসী বন্ধু ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং সর্বোচ্চ ১৫০ লাখ টাকা ঋণ পেতে পারেন। ঋণের মেয়াদ হবে ২৫ বছর এবং সুদের হার ৮%।
এই ঋণের সুবিধা:
- প্রবাসীদের দেশে নিজস্ব আবাসন তৈরির সুযোগ করে দেয়।
- দীর্ঘমেয়াদী ঋণ এবং কম সুদের হার।
- সহজ আবেদন প্রক্রিয়া।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- অনলাইন থেকে আবেদন ফরমের পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করুন।
- আবেদন ফরম পূরণ করুন:
- নিম্নলিখিত তথ্য সরবরাহ করুন:
- আবেদনকারীদের নাম, পিতা-মাতা, স্বামী/স্ত্রীর নাম (বাংলা ও ইংরেজিতে)
- পেশা
- মাসিক আয় (স্থানীয় মুদ্রায়)
- ইমেইল ঠিকানা
- পাসপোর্ট নম্বর
- প্রবাসের দেশ
- প্রবাসের সময়কাল
- বর্তমান ও কর্মস্থলের ঠিকানা
- ফ্ল্যাট/জমির অবস্থান (যেখানে ঋণ ব্যবহার করা হবে)
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।
- আবেদন ফরম ও কাগজপত্র বিএইচবিএফসির যেকোনো শাখায় জমা দিন।
ঋণের পরিমাণ:
- একক ব্যক্তির ক্ষেত্রে: সর্বোচ্চ ২০০ লাখ টাকা
- গ্রুপ ভিত্তিক (২-৫ জন): সর্বোচ্চ ১২০ লাখ টাকা
ঋণের মেয়াদ:
- সর্বোচ্চ ২৫ বছর
সুদের হার:
- সর্বনিম্ন ৮%
আরও তথ্যের জন্য:
- বিএইচবিএফসি
- বিএইচবিএফসি হেল্পলাইন: 16262
ঋণের জন্য আবেদন করার আগে বিএইচবিএফসির ওয়েবসাইটে প্রদত্ত শর্তাবলী ও নির্দেশিকাগুলি ভালোভাবে পড়ুন।
- ঋণের অনুমোদন নির্ভর করে আবেদনকারীর যোগ্যতার উপর।
- ঋণের সুদের হার
- পরিবর্তনযোগ্য।
প্রবাসী হোম ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা:
1. নাগরিকত্ব:আপনাকে অবশ্যই জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
2. বৈধ প্রবাস:
আপনাকে ন্যূনতম ৩ বছর ধরে বৈধভাবে বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করতে হবে।
3. জমি/ফ্ল্যাট:
দেশে আপনার নিষ্কন্টক জমির মালিকানা থাকতে হবে। ফ্ল্যাট ঋণের ক্ষেত্রে, ফ্ল্যাটটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রেজিষ্টার্ড ডেভেলপার কর্তৃক নির্মিত হতে হবে।
4. কাগজপত্র:
আপনাকে বিদেশের রেসিডেন্ট পারমিট এবং পাসপোর্টসহ সকল কাগজপত্রের ফটোকপি ঋণ আবেদন পত্রের সাথে দাখিল করতে হবে।
ঋণ আবেদনকারী বাংলাদেশে অবস্থানকালীন সময়ে দাখিলকৃত কাগজপত্রের মূল কপি সংশ্লিষ্ট শাখা অফিসের ম্যানেজারকে দেখাতে হবে।
ঋণ আবেদনকারী যে সকল অফিসের কাগজপত্র দাখিল করবেন সেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট/ ই-মেইলের মাধ্যমে দাখিলকৃত কাগজপত্র সত্যতা যাচাই করতে হবে।
5. পাসপোর্ট এবং জামানত:
আপনার বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকতে হবে।
প্রস্তাবিত জামানতি সম্পত্তি মর্গেজ সম্পন্নের পর ঋণ প্রদান করা হবে।
6. ব্যাংক হিসাব:
বাংলাদেশের যে কোন তফসিলভুক্ত ব্যাংকে আপনার সঞ্চয়ী হিসাব থাকতে হবে।
উক্ত হিসাবের মাধ্যমে সরাসরি ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
7. নমিনি/প্রতিনিধি:
ঋণে নির্মিত বাড়ি/ফ্ল্যাট তত্ত্বাবধান করার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত একজন নমিনি/প্রতিনিধি কে আমমোক্তার নিযুক্ত করতে হবে।
সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পাওয়ার-অব-এটর্নী ২০১২ অনুসরণ করে কর্পোরেশনের নমুনা মোতাবেক আম-মোক্তারনামা দাখিল করতে হবে।
8. সম্পত্তির অবস্থা:
ঋণ প্রস্তাবিত সম্পত্তি দায়মুক্ত হতে হবে।
বন্ধকীতব্য সম্পত্তি সর্বদাই বিএইচবিএফসি'র ১ম চার্জে দায়বদ্ধ হবে।
9. লীজপ্রাপ্ত জমি:
সরকারী প্রতিষ্ঠানের লীজপ্রাপ্ত জমির ক্ষেত্রে আম-মোক্তারনামা লীজ দাতা কর্তৃক গৃহীত হতে হবে।
জমির মূল মালিকানা দলিল
মূল মালিকানা প্রমাণকারী যেকোনো দলিল, যেমন: দানপত্র, মালিকানা সনদ, বায়না দলিল, ইত্যাদি।
সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জমির মালিকানা ও খাজনার তথ্য সম্বলিত নথি।
জমির খাজনা পরিশোধের রশিদ এবং মালিকানা হস্তান্তরের নথি।
গত ১২ বছরের মধ্যে জমির মালিকানা বিতর্কমুক্ত এমন প্রমাণপত্র।
প্লটের বরাদ্দ পত্র
সরকার কর্তৃক প্লট বরাদ্দের প্রমাণপত্র।
দখলহস্তান্তর পত্র:
প্লট বরাদ্দপ্রাপকের নামে প্লটের দখল প্রদানের প্রমাণপত্র।
মূল লীজ দলিল ও বায়া দলিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে):
সরকারের সাথে লীজ চুক্তি এবং লীজের মালিকানা হস্তান্তরের দলিল (প্রযোজ্য হলে)।
লীজ দাতা প্রতিষ্ঠান হতে বন্ধক অনুমতি পত্র:
লীজকৃত প্লট বন্ধক রাখার অনুমতির প্রমাণপত্র।
হস্তান্তরমূলে মালিক হলে হস্তান্তর অনুমতিপত্র ও নামজারী, ডি.সি.আর, খাজনা রশিদ:
হস্তান্তরের মাধ্যমে প্লটের মালিকানা লাভের প্রমাণপত্র এবং নামজারী ও খাজনা পরিশোধের রশিদ।
গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে:
- উপরোল্লিখিত কাগজপত্র ছাড়াও রেজিস্ট্রার্ড ফ্ল্যাট বন্টননামা দলিল:
- ঋণের মাধ্যমে নির্মিত ফ্ল্যাটের মালিকানা বন্টনের প্রমাণপত্র।
- প্রকৌশল সংক্রান্ত কাগজপত্র
- অনুমোদন পত্রসহ অনুমোদিত নকশা
- স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত ভবন নির্মাণের নকশা।
- প্লটের সয়েল টেষ্ট রিপোর্ট:
- প্লটের মাটির ধরণ ও ভারবহন ক্ষমতা সম্পর্কে পরীক্ষার রিপোর্ট।
- ইমারতের কাঠামো নকশা ও ভারবহন সনদ
- ভবনের কাঠামোগত নকশা এবং নির্মাণের অনুমতিপত্র।
গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা, উত্তরা, লালমাটিয়া, ডিআইটি [ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড হেডকোয়ার্টার] এলাকা (মহাখালী, বারিধারা, বনানী, মিরপুর) এবং সরকারি প্লট সহ এলাকার জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা 200,000 টাকা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে অন্যান্য এলাকার জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা 100,000 টাকা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের সকল বিভাগীয় ও জেলা সদরের জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৬০,০০০ টাকা। গ্রামীণ এলাকার জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা 50,000 টাকা।
গ্রুপ বাড়ি নির্মাণ ঋণ:গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা, উত্তরা, লালমাটিয়া, ডিআইটি এলাকা (মহাখালী, বারিধারা, বনানী, মিরপুর) এবং সরকারি প্লট এবং খুলশী আবাসিক এলাকা সহ এলাকার জন্য জনপ্রতি ঋণের সর্বোচ্চ সীমা 120,000 টাকা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে অন্যান্য এলাকার জন্য জনপ্রতি লোন সিলিং 60,000 টাকা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের সকল বিভাগীয় ও জেলা সদর এবং গ্রামীণ এলাকায় (পেরি-শহুরে ও উপজেলা সদর এবং প্রবৃদ্ধি কেন্দ্র এলাকা) জন্য জনপ্রতি ঋণের সর্বোচ্চ সীমা 40,000 টাকা।
সমতল ঋণ:গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা, উত্তরা, লালমাটিয়া, ডিআইটি এলাকা (মহাখালী, বারিধারা, বনানী, মিরপুর) এবং সরকারি প্লট সহ এলাকার জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা 120,000 টাকা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে অন্যান্য এলাকার জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা 80,000 টাকা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের সকল বিভাগীয় ও জেলা সদরের জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৬০,০০০ টাকা।
গ্রামীণ এলাকার জন্য ঋণের সর্বোচ্চ সীমা 40,000 টাকা (পেরি-শহুরে এবং উপজেলা সদর এবং বৃদ্ধি কেন্দ্র এলাকা)।
গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা, উত্তরা, লালমাটিয়া, ডিআইটি এলাকা (মহাখালী, বারিধারা, বনানী, মিরপুর) এবং সরকারি প্লট এবং খুলশী আবাসিক এলাকা সহ উপরে উল্লিখিত সমস্ত ঋণ বিকল্পের সুদের হার 9%। অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে সুদের হার 8%।
ঋণের পরিমাণ:
- লিফটের জন্য 20 লাখ টাকা পর্যন্ত
- সাবস্টেশনের জন্য 10 লাখ টাকা পর্যন্ত
- জেনারেটরের জন্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত
- ঋণগ্রহীতা ইক্যুইটি: 70%
- ঋণ পরিশোধের সময়কাল: 5, 10, 15, 20, বা 25 বছর
মাসিক অর্থপ্রদান: সুদের হার এবং ঋণের মেয়াদের উপর ভিত্তি করে পরিশোধ পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্ধারণ করা হয় সুদের হার: 8% বা 9% মাসিক অর্থপ্রদান কিভাবে গণনা করতে হয় তার একটি উদাহরণ এখানে দেওয়া হল:
ঋণের পরিমাণ: ১ লাখ টাকাঋণের মেয়াদ: 15 বছর
সুদের হার: 8%
মাসিক অর্থপ্রদান = [ঋণের পরিমাণ x (সুদের হার / (1 - (1 + সুদের হার)^-প্রদানের সংখ্যা))]
মাসিক অর্থপ্রদান = [100,000 টাকা x (8% / (1 - (1 + 8%)^- (15 x 12)))]
মাসিক পেমেন্ট = 956 টাকা
অতিরিক্ত নোট:
ঋণদাতার উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট ঋণের শর্তাবলী পরিবর্তিত হতে পারে। এক বা একাধিক ইউনিট সহ একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য ঋণ গ্রহন করতে পারবেন।
FAQ :
আপনি যদি একজন প্রবাসী হন তাহলে আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে কিছু নিয়ম এবং সত্য অনুযায়ী লোন নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি ব্যাংকে আপনি যে প্রবাসী সেই তথ্য ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
২: হোম লোন পরিষদের সর্বনিম্ন মেয়াদ কত দিন?আপনি যদি প্রবাসী হন এবং আপনি যদি হোম লোন নিতে চান। তাহলে আপনি অবশ্যই জানতে চাইবেন যে হোম লোনের সর্বনিম্ন মেয়াদ কতদিন। তাহলে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি একটি হোম লোনের সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে এর ভিতর আপনি লোন পরিশোধ করতে হবে।
৩: হোম লোন দেওয়ার সময় মিস হলে কি হবে?আপনি যদি আপনার হোম লোনের ইএমআই মিস করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার হোম লোনের সাথে সুধ প্রদান করতে হবে।
৪: আমি দুবাই/কাতার/সৌদি আরব/ থাকি? আমি জমি কেনার জন্য/বাড়ি করার জন্য ঋণ নিতে চাই।আপনি যদি প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবগতির জন্য আমরা জানাচ্ছি যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অধিবাসী ঋণ এবং বিমানের টিকিট কিনার জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। সুতরাং আপনি বাড়ি করা, জমে কিনা, ইত্যাদির জন্য কোন ঋণ পাবেন না।
৫: কোথায় কোথায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা আছে?বাংলাদেশে মোট ৬৪ জিবি শাখা রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের। আপনার নিকটস্থ যে কোন শাখায় প্রবাসী কল্যাণ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
পরিশেষে
বাংলাদেশে জনপ্রিয় লোন প্রদানকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি ব্যাংক হলো প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। বাংলাদেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা চাকরির অভাবে প্রবাসে বসবাস করে। এবং লক্ষ্য করা যায় নতুন করে আরো অনেকেই চাকরির অভাবে প্রবাসের দিকে পারি জমাচ্ছে। বাংলাদেশের অনেকেই বিভিন্ন অন্যান্য বিভিন্ন রাষ্ট্রে বসবাস করেন এবং চাকরি করেন। তারা মূলত বাংলাদেশে আসার বাড়ি করার জন্য হোম লোন নিয়ে থাকে।
উপরে আমরা কোন ব্যাংক থেকে প্রবাসী হোম লোন কত পারসেন্ট হারে সুদে নিতে পারবে সেই বিষয়টি উল্লেখ করেছি। আপনারা পুরো আর্টিকেল পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আমরা আশা করছি। এই পোস্টটি প্রবাসীদের জন্য এবং অন্যান্যদের জন্য খুবই উপকারী এবং একটি তথ্য বহনকারী পোস্ট।
প্রবাসীদের হোম লোন নিয়ে যদি আর কিছু জানতে চান, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, এছাড়াও এ সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পেতে সংস্থাটির ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন। আর নতুন কোন বিষয় নিয়ে জানতে চান, সেটিও অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।
তাই আপনারা এরকম আরো অন্যান্য বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দেখতে পারেন। আমরা আশা করছি আপনি আপনার কাঙ্খিত তথ্য আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন।