SSC বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম অধ্যায় : বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ

নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম অধ্যায় : বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ

SSC বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম অধ্যায়  বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ

{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ সৃজনশীল প্রশ্ন

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ ১ নং প্রশ্ন

জাহিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ছুটিতে সে তার বিদেশি সহপাঠীদের সেখানকার বনভূমিতে বেড়াতে নিয়ে যায় সেগুন, গর্জন, জায়ুল বৃক্ষশোভিত বনভূমিটির সৌন্দর্য তাদের মুল্য করে। ফেরার পথে জাহিদ তাদের অঞ্চলটির প্রধান নদীটির তীরে নিয়ে যায় এবং বলে যে, তাদের নদীটি অফুরন্ত শক্তির উৎস।

ক. নাফ কী?
খ. শাখানদী সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত বনভূমিটির বৃক্ষের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জাহিদের করা মন্তব্যটির যথার্থতা তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ কর।

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ ১ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. নাফ হচ্ছে একটি নদী।

খ. তিব্বতের মানস সরোবরে ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি হয়েছে। আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় এটি প্রবেশ করেছে।। ১৭৮৭ সালের পূর্বে ব্রহ্মপুত্রের প্রধান ধারাটি ময়মনসিংহের মধ্য দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ পূর্বদিকে আড়াআড়িভাবে প্রবাহিত হতো। কিন্তু ১৭৮৭ সালে সংঘটিত ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ উত্থিত হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যায় এবং নতুন স্রোতধারার শাখানদীর সৃষ্টি হয়।

গ. অনুচ্ছেদে বর্ণিত বনভূমিটি হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পত্রপতনশীল বনভূমি এলাকা। সাধারণ উষ্ণ ও আর্দ্রসমভূমিতে কিছু এলাকা জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, তরুলতা, ঝোপঝাড় ও গুল্ম জন্ম নেয়। এসব গাছের পাতা একত্রে ফোটেও না; ঋরেও না। ফলে সারাবছর বনগুলো সবুজ থাকে। অবশ্য সে কারণেই। 

এসব বনকে চিরহরিৎ বা চিরসবুজ বন বলা হয়। চাপালিশ, ময়না, তেলসুর, মেহগনি, জারুল, সেগুন, গর্জন এ বনভূমির উল্লেখযোগ্য গাছ। তবে বর্তমানে এসব বনে রবার চাষও হচ্ছে। তাছাড়া এ বনগুলো অনেক সৌন্দর্যের রূপ পরিগ্রহ করে। 

প্রায় প্রতিনিয়তই সেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা যাওয়া-আসা করে থাকেন।

ঘ. জাহিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছুটিতে সে তার বিদেশি সহপাঠীদেরকে যে বনভূমিতে বেড়াতে নিয়ে যায় সেটি হলো বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত। এটি চিরহরিৎ এবং পত্রপতনশীল বনভূমি এলাকা নামে পরিচিত। ফেরার পথে জাহিদ সে অঞ্চলের প্রধান নদীটি সম্পর্কে যে মন্তব্যটি করে তা যথার্থ। এ নদীটির নাম কর্ণফুলী। 

এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদী। এ নদীর উৎপত্তিস্থল লুসাই নামক পাহাড়ে। ৩২০ কি.মি. দৈর্ঘ্যের এ নদীটি চট্টগ্রাম শহরের খুব নিকট দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর কর্ণফুলী, নদায় অবস্থিত। 

পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য এ নদীর পুরুত্ব অতিমাত। পারিড়া এ নদীটি আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। তাই জাহিদের মন্তব্যটি নিঃসন্দেহে যথার্থ।

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫ম অধ্যায় সৃজনশীল

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ ২ নং প্রশ্ন

আজমল মিয়া দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীপাড়ের বাসিন্দা ছিলেন। একটা সময় ছিল যখন তিনি মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বর্তমানে নদীটির রূপ পরিবর্তিত হওয়ায় তাকে জীবিকা পরিবর্তন করতে হয়েছে। ভিটামাটি হারিয়ে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তার অঞ্চলে ঋতুবিশেষে পানির চরম সংকট জনজীবনকে বিপর্যন্ত করে।

ক. বঙ্গোপসাগরের তলদেশে কোন খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হয়েছে?

খ. দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রচুর সৌরশক্তি পাওয়া যায় কেন?

গ. আজমল মিয়ার বসবাসকৃত অঞ্চলটির নদীর রূপ পরিবর্তিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

ঘ. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংকটটি নিরসনে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? তোমার মতামত দাও।


Read more : নবম ও দশম শ্রেণি : রসায়ন একাদশ অধ্যায় : খনিজ সম্পদ জীবাশ্ম সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ ২ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. বঙ্গোপসাগরের তলদেশে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে।

খ.নিরক্ষীয় নিম্ন অক্ষাংশ অঞ্চলে সূর্য বছরের প্রায় সব সময়ই লম্বভাবে কিরণ দেয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অপরাপর দেশগুলো নিরক্ষীয় বা ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। আর তাই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রচুর সৌরশক্তি পাওয়া যায়।

গ.একটা সময় ছিল যখন আজমল মিয়া মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু বর্তমানে নদীটির রূপ পরিবর্তিত হওয়ায় অর্থাৎ নদীটি অনেক শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানে মাছ শিকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই তাকে জীবিকা পরিবর্তন করতে হয়েছে এবং ভিটা-মাটি হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব। আজমল মিয়ার বসবাসকৃত অঞ্চলটির নদীর রূপ পরিবর্তিত হওয়ার কারণ হলো- 

১. বাংলদেশের নদীসমূহে উজান থেকে পানি আসে। এ পানিতে প্রচুর পলি থাকে। এসব পলি নদীর তলদেশে জমা পড়ে। ফলে নদীগুলোতে চর পড়ে যাওয়ায় পানির প্রবাহ কমে গেছে। এভাবে অনেক নদনদী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহে এভাবে অনেক নদী আজ বিলুপ্ত।

২. বাংলাদেশের অনেক নদীর উৎসস্থল ভারতে। ভারতের বেশকিছু নদীতে বাঁধ দেওয়ায় বাংলাদেশের নদীগুলোতে পানির প্রবাহ কমে গেছে। বিশেষ করে ফারাকা বাঁধ নির্মাণের ফলে দেশের। উত্তর-পশ্চিমাজ্জ্বল ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আর এভাবে আজমলের অঞ্চলের নদীটির রূপ পরিবর্তিত হয়েছে।

ঘ.অনুচ্ছেদে উল্লেখিত সংকটটি হলো দেশের উত্তর অঞ্চলে আজমল মিয়ার বসবাসকৃত অঞ্চলটির নদীর রূপ পরিবর্তিত হওয়া অর্থাৎ নদীটি বিশুদ্ধ হওয়ার আজম মিয়াকে তিনি নির্তি করাতে হয়েছে। আর তাই ভিটাম্যাট মারিয়ে এখন হবে। তা হলো- ১. নদীতে নিয়মিত খনন করা, পুল-কালভার্ট নির্মাণ না করা এবং ২. আয়োজনীয় বাঁধ, ৩. পানির প্রবাহ ঠিক রাখার উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি।

থাকে প্রচুর পলি। এসব পলি নদীর তলদেশে জমে নদীর তলদেশ কাদবপুর বিশ্বপ্তির পথে ধাবিত থাকে মুখ গ্রহণ করা যেতে পা মালার বিদাতির প্রভাবক পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা মেতে পারে।

SSC বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়: সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ ৩ নং প্রশ্ন

রূপা তার বাবা-মায়ের সাথে সুনামগঞ্জে বেড়াতে পিয়েছিল। আজমিরীগঞ্জ থেকে মানের পশোথে কানামগঞ্জে বেড়াতে পথিমধ্যে তারা অনেক জলধারার দ্বিলছে পরলো চাঁদপুরে পৌছে নদীর অপরূপ দৃশ্য রূপা ও তার বাবা-মায়ের নানামুখী প্রশ্ন জাগে।। একপর্যায়ে রূপার বাবা বলেন, "এ নদী আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।"


ক. পানির ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

খ. জলবিদ্যুৎ বলতে কী বোঝায়?

গ. রূপা ও তার পরিবার যে নদীপথ ভ্রমণ করেছে তার গতিপথ ব্যাখ্যা কর। ২

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত নদীপথ ছাড়াও আমাদের সকল নদীপথ যাতায়াত ও বাণিজ্যের স্কোতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে- মতামত দাও।

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ ৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক.পানির পরিকল্পিত প্রাপ্যতা ও ব্যবহারকে পানির ব্যবস্থাপনা বলে।

খ.নদী বা সাগরের পানির স্রোতকে কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎ। উৎপাদন করা হয় তাকে জলবিদ্যুৎ বলা হয়। অর্থাৎ নদী ও জলপ্রপাতের পানির বেগ ব্যবহার করে টার্বাইন যন্ত্রের সাহায্যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এটি নবায়নযোগ্য শক্তিসম্পদ। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের কান্তাই নামক স্থানে কর্ণফুলী নদীতে নদীর গতিপথে বাঁধ দিয়ে এ জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। সবচাইতে কম খরচে এ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

গ.রূপা ও তার পরিবার যে নদীপথ ভ্রমণ করেছে সেটি হলো মেঘনা। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নদীগুলোই যেন বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে। মেঘনা অন্যতম। উদ্দীপকের রূপা ও তার পরিবার মেঘনা নদী ভ্রমণে যায়। ভ্রমণকালে আজমিরীগঞ্জ থেকে নৌপথে তারা চাঁদপুরে পৌঁছে। পথিমধ্যে তারা অনেক জলধারার মিলনস্থল দেখতে পায়। 

যা ছায়া বোঝা যায় তারা মেঘনা নদী ভ্রমণ করেছে। আসামের বরাক নদী নাগা-মণিপুর অঞ্চলে উৎপত্তি হয়ে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এ মিলিত ধারা সুনামগঞ্জ জেলার। আজমিরীগঞ্জের কাছে কালনী নামে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে। মেঘনা নামধারণ করেছে। এটি ভৈরব বাজার অতিক্রম করে পুরাতন। ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। 

মুন্সীগঞ্জের কাছে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যার মিলিত জলধারাই মেঘনায় এসে যুক্ত হয়েছে। বৈশিষ্ট্য ও গতিপথের বিবরণ অনুযায়ী রূপার ভ্রমণকৃত নদীটি এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, রূপা ও তার পরিবার যে নদীপথ ভ্রমণ করেছে সেটি হলো মেঘনা নদী।

ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত নদীপথ ছাড়াও আমভূমিকা তপ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যাতায়াত একটি নদীমাতৃক দেশ। নদীগুলোই যেন বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। উদ্দীপকে রূপা ও তার পরিবার এমনই একটি নাই ভ্রমণ করার সময় বাংলাদেশের জন্য নদীর গুরুত্বের কথা উপলব্দি করে। রূপার বাবা তাই বলেন, "এ মনী আমাদের জীবনে অনেক গরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।" নদীমাতৃক বাংলাদেশে যাতায়াত ও পরিবহন বাবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নদীগুলোই বহন করছে। যাত্রী। পরিবহন সেবায়ও নদীগুলো বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে যাকে। 

নদীপথকে সকলে আরামদায়ক পথ বলে বিবেচনা করে খাতে। বাংলাদেশে নদীপথে নৌকা, লঞ্চ, ট্রলার, স্টিমার, নৌট্রাক ইতালি পরিবহনে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে। নদীপথে কিছু সংরক্ষণ খরচ ব্যতীত তেমন কোনো নির্মাণ খরচ ন থাকায় নদীপথে যাতায়াত খরচও অপেক্ষাকৃত কম। বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে দেশের মোট বাণিজ্যিক মালামালের ৭৫ শতাংগ আনা-নেওয়া করা হয়। বর্তমানে আমাদের বহুমুখী পণ্যবাহী জাহাজের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে প্রায় সব নদীপথেই সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ টন মালামাল পরিবহন করা হয়ে থাকে। 

সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে বাংলাদেশের নৌ-বাণিজ্যকে গতিশীল করার জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আমাদের দেশে বাণিজ্যগের আরও প্রসারিত হবে। তাই উদ্দীপকে বর্ণিত নদীপথ ছাড়াও আমাদের সকল নদীপথ যাতায়াত ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করছে বলে আমি মনে করি।

Read more: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে mcq প্রশ্ন জেনে নিন [PDF]

Read more: অধ্যবসায় রচনা

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ ৪ নং প্রশ্ন

একদল ছাত্র শিক্ষা সফরে বাংলাদেশের উত্তরে যায়। সেখানে তারা একটি বড় নদী দেখতে পায়। নদীটি হিমালয় হতে উৎপন্ন হয়ে দুটি নামে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু যখন তারা জানতে পারল যে, নদীটির উত্তরে একটি বাঁধ দেওয়ার কারণে দক্ষিণে শুষ্ক মৌসুমে চরম পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে তখন তারা সংক্ষুব্ধ হয়।

ক. বাংলাদেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য কত?

খ. ব্রহ্মপুত্র নদ হতে একটি স্রোতধারা সৃষ্টি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

গ. ছাত্রদের দেখা নদীটির গতিপথের বিবরণ দাও।

ঘ. 'বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলের পানির সমস্যা উদ্দীপকের উল্লিখিত নদীটির সাথে সম্পর্কযুক্ত'- বিশ্লেষণ কর।

বাংলাদেশের নদ নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ ৪ নং প্রশ্নের উত্তর

ক.বাংলাদেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য ৯,৮৩৩ কি.মি.।

খ. তিব্বতের মানস সরোবরে ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি হয়েছে। আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় এটি প্রবেশ করেছে। কিন্তু ১৭৮৭ সালে সংঘটিত ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ উত্থিত হওয়ায় পানি ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যায় এবং নতুন স্রোতধারার শাখা নদীর সৃষ্টি হয়। নতুন স্রোত ধারাটি যমুনা নামে পরিচিত হয়। এটি দক্ষিণে গোয়ালন্দ পর্যন্ত যমুনা নদী বলে পরিচিত।

গ. ছাত্রদের দেখা নদীটির নাম পদ্মা। পদ্মানদী ভারত ও ভ্যাকেয় উত্তরবঙ্গে গঙ্গা এবং বাংলাদেশে পদ্মা নামে পরিচিত। এয় উৎপত্তিস্থল মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহে। উত্তর ভারতে। কয়েকটি রাজ্য অতিক্রম করে পলা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে। গোয়ালন্দের নিকট ব্রহ্মপুত্রের প্রধান ধারা যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। 

পদ্মা নদী কুষ্টিয়া জেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি আরও দক্ষিণে চাঁদপুরের নিকট মেঘনায় পতিত হয়েছে।পদ্মা-মেঘনার যৌথ প্রবাহ মেঘনা নামে নোয়াখালী বরিশাল হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

Read more: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – ১০ম অধ্যায় (সমন্বয়)

ঘ. বাংলাদেশের অনেক নদীর উৎপত্তি ভারতে হওয়ায়। সেখানে বেশকিছু নদীতে বাঁধ দেওয়ায় বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে ব্যাপক পানির সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে ফারাক্কা বাঁধ অন্যতম। এটি ভারতের অভল্লরে গঙ্গা নদীতে অবস্থিত। আর নদীটিই বাংলাদেশে স্বাস্থ্য নামে পরিচিত হওয়ায় বাঁধের কারণে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্জল ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ফলে পদ্মাসহ উত্তরাঞ্চলের সব নদীতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। 

বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে রাজশাহী হতে গোয়ালন্দের আগ পর্যন্ত আশপাশের কয়েকটি জেলাতেই পানি চরম সংকট দেখা দেয়। তাছাড়া পদ্মা নদীর শাখা নদী ও উপনদীগুলো পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে বিধায় এ নদীগুলোর উপর নির্ভর আশপাশের অঞ্চলগুলোতেও পানির তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্যের ওপর পানির অপ্রতুলতার কারণে নানা ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সেচসহ নানা কাজে কোনো কোনো নদী থেকে পাম্প দিয়ে এ প্রচুর পানি উত্তোলনের ফলে মূল নদীতেই পানি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। 

সাধারণত গ্রীষ্ম ও শীতকালে এ নদীতে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে নদী ধীরে ধীরে নাব্যতা হারিয়ে ফেলছে। ফলে এসব অঞ্চলের সমাজ, অর্থনীতি ও জনজীবন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

New comments are not allowed.*

Previous Post Next Post