এসএসসি জীববিজ্ঞান -অধ্যায় ১ - জীবন পাঠ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | SSC Biology Chapter 1

এসএসসি জীববিজ্ঞান -অধ্যায় ১ - জীবন পাঠ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

এসএসসি জীব বিজ্ঞান -অধ্যায় ১ - জীবন পাঠ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর  SSC Biology Chapter 1

{getToc} $title={Table of Contents} $count={Boolean}

১- দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম লেখো ?

উত্তরঃ copsychus saularis

২- জীববিজ্ঞানের জনক কে ?

উত্তরঃ গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটল হলেন জীববিজ্ঞানের জনক।

৩- দেহ কোষ কাকে বলে ?

উত্তরঃ জীবের দেহ গঠনে অংশগ্রহণকারী কোষ কে দেহ কোষ বলে।

৪- কুনো ব্যাঙ এর বর্তমান বৈজ্ঞানিক নাম ?

উত্তরঃ Duttaphrynus melanostictus

৫- অ্যানিমিয়া কি ?

উত্তরঃ রক্তে হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়াই হল অ্যানিমিয়া।


Read more: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে mcq প্রশ্ন জেনে নিন [PDF]

এসএসসি জীববিজ্ঞান -অধ্যায় ১ জীবন পাঠ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

৬- লসিকা কি ?

উত্তরঃ ঈষৎ ক্ষারীয় স্বচ্ছ হলুদ বর্ণের তরল যোজক কলাই হলো লসিকা ।

৭- ফুল কি ?

উত্তরঃ প্রজননের উদ্দেশ্য পরিবর্তিত বিটপই ফুল।

৮- ICZN এর পূর্ণরূপ লিখো ?

উত্তরঃ International code of Zoological Nomenclature

৯- দ্বি-পদ নামকরন কে প্রবর্তন করে ?

উত্তরঃ দ্বিপদ নামকরন প্রবর্তন করেন ক্যারোলাস লিনিয়াস।

১০- কনজুগেশন কি ?

উত্তরঃ জৈবনিকভাবে ভিন্ন কিন্তু গঠনগতভাবে এক এরূপ দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যে যৌন প্রজনন ঘটে তাই কনজুগেশন।


Read more: অধ্যবসায় রচনা

এসএসসি জীববিজ্ঞান -অধ্যায় ১ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১১- কপাটিকা কি ?

উত্তরঃ হৃদপিন্ডের অলিন্দ,নিলয় ও ধমনির মধ্য দিয়ে রক্ত চলাচলের জন্য কিছু ছিদ্রপথ আছে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ঢাকনা থাকে তাই হলো কপাটিকা।

১২- শ্রেণীবিন্যাস কি ?

উত্তরঃ পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবকে সাজানো বা বিন্যাসকরণই হলো শ্রেণীবিন্যাস।

১৩- আরশোলার বৈজ্ঞানিক নাম কি?

উত্তরঃ Periplaneta americana

১৪- হিস্টোলজি কি?

উত্তরঃ জীব বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলী নিয়ে আলোচনা করা হয় সে শাখাই হলো হিস্টোলজ ।

এসএসসি জীববিজ্ঞান -অধ্যায় ১ - জীবন পাঠ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক নীলাভ সবুজ শৈবাল, এককোষী শৈবাল ও ছাতার ন্যায় একটি পরজীবীর শ্রেণিবিন্যাসগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করলেন।

(ক) এন্ডোক্রাইনোলজি কী?
(খ) মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলার কারণ ব্যাখ্যা
(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত পরজীবীর রাজোর বৈশিষ্ট্য লিখ। বিশ্লেষণ কর।
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম জীব দুটির মধ্যে তুলনামূলক

প্রশ্নের উত্তর

ক. ভৌত জবিবিজ্ঞানের নেং প্রশ্নের মদেহে হরমোনের কার্যকারিতা বিষয়ক আলোচনা করা হয় তাই এন্ডোক্রাইনোলজি।

খ.  Primate বর্গের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এদের আঁকড়ে ধরার উপযোগী হাত এবং ঘ্রাণ অযোগ্য সৃতিশক্তি বেশি উন্নত হয়। আর এ বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকার কারণেই মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলা হয়।

গ. উদ্দীপকে আলোচিত ছাতার ন্যায় পরজীবীটি হলো মাশরুম। যা ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। নিচে ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো- 

১. এদের অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী।

২. দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। 

৩. এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত।

৪. কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত।

৫. খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে। 

৬. ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত।

৭. হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

সারকথা: মাশরুম ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এদের অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী। ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রথম জীব দুটি হলো নীলাভ সবুজ শৈবাল ও এককোষী শৈবাল। এদের মধ্যে নীলাভ সবুজ শৈবাল অর্থাৎ Nostoc সুপার কিংডম। এর মনেরা রাজ্যের সদস্য এবং এককোষী শৈবাল অর্থাৎ ডায়াটম সুপার কিংডম 2 এর প্রোটিস্টা রাজ্যের সদস্য। নিচে জীব দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো-

১. Nostoc এককোষী, ফিলামেন্টাস ও কলোনিয়াল। অন্যদিকে ডায়াটম এককোষী একক বা কলোনিয়াল বা ফিলামেন্টাস। . Nostoc-এর কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস 

২ নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। অপরদিকে ডায়াটমের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA এবং প্রোটিন থাকে।

৩. Nostoc-এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়। কিন্তু ডায়াটমের নিউক্লিয়াস সুগঠিত।

৪. Nostoc-এ রাইবোজোম ব্যতীত কোনো কোষীয় অঙ্গাণু নেই। অন্যদিকে ডায়াটমে সকল ধরনের কোষীয় অঙ্গাণু থাকে।

৫. Nostoc প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে। অপরদিকে ডায়াটম শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে।

৬. Nostoc দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি ঘটায়। অপরদিকে ডায়াটম অযৌন প্রজনন এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায়।

সারকথা: প্রথম জীব দুটি হলো নীলাভ সবুজ শৈবাল ও এককোষী শৈবাল। এদের মধ্যে Nostoc-এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয়।

২নং প্রশ্ন:

বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এর পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

ক. বায়োইনফরমেটিকস্ কাকে বলে?
খ. জীবপ্রযুক্তিতে প্লাসমিড গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গ. উদ্দীপকে নমুনা জীবের নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে "আদি কোষের" বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে- বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্নের উত্তর

(ক)কম্পিউটার প্রযুক্তিনির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যান্সার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞানকে বায়োইনফরমেটিকস্-স্বলে।

(খ)প্লাসমিড ক্রোমোজোম বহির্ভূত একটি বৃত্তাকার DNA অণু। এই বৃত্তাকার প্লাসমিড জীবপ্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্লাসমিড এর মাধ্যমে নতুন জিন এর সন্নিবেশন এবং সন্নিবেশিত জিনকে অন্য জীবে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। জিন ক্লোনিং, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কাজে প্লাসমিড অত্যন্ত উপযোগী বাহক হিসেবে কাজ করে।

(গ)উদ্দীপকে নমুনা জীবটি হলো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। ইলিশ মাছের নামকরণ করতে হবে ICZN কর্তৃক স্বীকৃত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিতে। নিচে মাছটির নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হলো-

১. ইলিশের নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
২. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশ গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমন- Tenualosa ilisha. এটি ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে Tenualosa গণ এবং ilisha প্রজাতিক পদ।
৩. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হবে। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই।
৪. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে।
৫. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন- Tenualosa ilisha.
৬. ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম হাতে লিখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন- Tenualosa ilisha.
৭. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে নামদানকারীর নাম (সাধারণত সংক্ষিপ্ত) লিখতে হয়। Tenualosa ilisha Li. (এখানে Li লিনিয়াসের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।
৮. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী ইলিশ মাছকে বিভিন্ন বিজ্ঞানসম্মত। নি নামকরণ করেন তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।

(সারকথা: উদ্দীপকে নমুনা জীবটি হলো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। স ইলিশ মাছের নামকরণ করতে হবে ICZN কর্তৃক স্বীকৃত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিতে। ইলিশের বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশ গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমন- Tenualosa ilisha.)

(ঘ) উদ্দীপকের উল্লেখিত জীবটি হলো ইলিশ মাছ, যা প্রকৃতকোষী। প্রকৃতকোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

আদিকোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এসব কোষের নিউক্লিয়াস কোনো পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না, তাই নিউক্লিও বস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে। এসব কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না তবে রাইবোজোম থাকে। ক্রোমোজোমে কেবল DNA থাকে। অন্যদিকে, প্রকৃতকোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে নিউক্লিও-বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত। এসব কোষে রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। ক্রোমোজোমে DNA, হিস্টোন, প্রোটিন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে।

অতএব বলা যায় যে, উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে আদিকোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সুস্পষ্ট ভিন্নতা রয়েছে।

৩ নং প্রশ্ন:

নীলু একটি টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন উন্নত উদ্ভিদ এবং বাঘসহ এ জাতীয় প্রাণী দেখছিল। সে একজন অলস ও আয়েশী তরুণ। সে সর্বদা বিরিয়ানী, বার্গার ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। তার রক্তে LDL এর পরিমাণ ৫.৬৮ গ্রাম/ ডেসিলিটার।

ক. ধমনি কী?
খ. নিষ্ক্রিয় ও সক্রিয় শোষণ বলতে কী বোঝায়?
গ. নীলু সম্ভাব্য যে রোগে আক্রান্ত হতে পারে তার লক্ষণ বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলো একই সুপার কিংডমের অন্তর্ভুক্ত হলেও এদের রাজ্য আলাদা - বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্নের উত্তর

(ক)অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বহনকারি রক্তনালিই হলো ধমনি।

(খ) যে শোষণ প্রক্রিয়ায় আয়ন শোষণের জন্য কোনো বিপাকীয় শক্তির প্রত্যক্ষ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না তাকে নিষ্ক্রিয় শোষণ বলে। উদ্ভিদ এ প্রক্রিয়ায় মূলরোম ইমবাইবিশন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় লবণ শোষণ করে। আবার, যে শোষণ প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ পরিবহনের জন্য কোষে উৎপন্ন বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে সক্রিয় শোষণ বলে।

(গ) উদ্দীপকে উল্লেখিত বর্ণনা অনুসারে নীলু হার্ট অ্যাটাক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কারণ অধিক তেলযুক্ত খাবার (বিরানী, তেহারি ইত্যাদি)। ফাস্টফুড (বার্গার, বিফ বা চিকেন প্যাটিস ইত্যাদি) খাওয়া, অলস জীবনযাপন এবং শারীরিক পরিশ্রম না করার ফলে এ রোগ দেখা যায়। নিচে হার্ট অ্যাটাক রোগের লক্ষণ বর্ণনা করা হলো- হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষ করে বুকের মাঝখানে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয় যা প্রাথমিকভাবে এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেলেও কমবে না। ব্যথা বাঁ দিকে বা সারা বুকে ছড়িয়ে যেতে পারে। ব্যথা অনেক সময় গলা ও বাম হাতে ছড়িয়ে যায়। রোগী প্রচন্ডভাবে ঘামতে থাকে ও বুকে ভারি চাপ অনুভব করছে বলে মত প্রকাশ করে।

(সারকথা: উদ্দীপকে উল্লেখিত বর্ণনা অনুসারে নীলু হার্ট অ্যাটাক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষ করে বুকের মাঝখানে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয় যা প্রাথমিকভাবে এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেলেও কমবে না।)

(ঘ)উদ্দীপকে উল্লেখিত উদ্ভিদগুলো প্লানটি এবং প্রাণীগুলো অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্লানটি ও অ্যানিমেলিয়া উভয় রাজ্য সুপার কিংডম ইউক্যারিওটার অন্তর্গত। অর্থাৎ উদ্দীপকের উদ্ভিদ এবং প্রাণীগুলো একই সুপার কিংডমের অন্তর্ভুক্ত হলেও এদের রাজ্য আলাদা। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো-

উন্নত উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণকারী, প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত, স্বভোজী উদ্ভিদ। এদের উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। এদের যৌন জনন অ্যানাইসোগ্যামাস অর্থাৎ আকার, আকৃতি অথবা শারীরবৃত্তীয় পার্থক্য বিশিষ্ট ভিন্নধর্মী ২টি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন জনন সম্পন্ন হয়। এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় উদ্দীপকের উন্নত উদ্ভিদগুলো সুপার কিংডম ইউক্যারিওটার প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। আবার, বাঘসহ সকল মেরুদণ্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রাণী (প্রোটোজোয়া ব্যতীত) নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট বহুকোষী প্রাণী।

এদের কোষে কোনো জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড, কোষগহ্বর নেই। প্লাস্টিড না থাকায় এরা পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ ও হজম করে। দেহে জটিল। টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের এসব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় বাঘসহ এ জাতীয় প্রাণী সুপার কিংডম ইউক্যারিওটার অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

অতএব, উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে একথা স্পষ্টভাবে বলা যায় যে, উদ্দীপকের উদ্ভিদ ও প্রাণীগুলোর সুপার কিংডম অভিন্ন কিন্তু রাজ্য ভিন্ন।

৪ নং প্রশ্ন:

নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

i) Mangifera indica

ii) MANGIFERA INDICA

iii) Mangifera

ক. ফলিত জীববিজ্ঞান কী?'
খ. শ্রেণিবিন্যাস জীবের জন্য কেন প্রয়োজন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে থেকে কোন পদ্ধতি অনুসরণে তুমি কীভাবে আমাদের জাতীয় ফুল এবং জাতীয় পাখির নাম লিখবে? ৩
ঘ. উল্লিখিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে থেকে জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে কোন পদ্ধতিটি তুমি কেন গ্রহণ করলে যুক্তিসহ তোমার মতামত ব্যক্ত কর।

প্রশ্নের উত্তর 

(ক)জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবন সংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়গুলো আলোচনা করা হয় তাই ফলিত জীববিজ্ঞান।

(খ)শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে একটি জীবরে গঠন, জনন, বাসস্থান, খাদ্য গ্রহণ, উৎপত্তি, বিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া একই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি জীবের মাধ্যমে ঐ প্রজাতির অসংখ্য জীব সম্পর্কে প্রায় পরিপূর্ণ সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। ফলে জীবজগতে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কে সহজে ও অনায়াসে জানা যায়। তাই জীবের জন্য শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজন।

(গ)উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে (i) নং পদ্ধতিতে দ্বিপদ নামকরণ অনুসরণ করা হয়েছে। তাই আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা ও জাতীয় পাখি দোয়েলের নাম আমি এই পদ্ধতি অনুসারেই লিখব। নিচে পদ্ধতিটি অনুসারে এদের নামদ্বয় লেখার প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো-

১. এদের নাম হবে দ্বিপদী। প্রথমটি গণ ও দ্বিতীয়টি প্রজাতি।
২. নামের ভাষা হবে ল্যাটিন।
৩. গণ নামে প্রথম অক্ষর বড় হাতের হবে, প্রজাতিক পদের সব অক্ষরই ছোট হাতের হবে।
৪. নামকরণ ছাপা অক্ষরে ইটালিক হরফে হবে। হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করতে হবে এবং অংশ দুটির নিচে আলাদা আলাদাভাবে দাগ টানতে হবে।
৫. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে নামদানকারীর নাম (সংক্ষিপ্ত) লিখতে হয়। তাই দ্বিপদ নামকরণের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের জাতীয় ফুল শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Nymphaea nouchali এবং দোয়েলের বৈজ্ঞানিক নাম Copsychus saularis.

(সারকথা: আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা ও জাতীয় পাখি দোয়েলের নাম হবে দ্বিপদী। প্রথমটি গণ ও দ্বিতীয়টি প্রজাতি। গণ নামে প্রথম অক্ষর বড় হাতের হবে, প্রজাতিক পদের সব অক্ষরই ছোট হাতের হবে।)

(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত আমের বৈজ্ঞানিক নামকরণ পদ্ধতিগুলো হলো- (i) Mangifera indica, (ii) MANGIFERA INDICA ও (iii) Mangifera. এ পদ্ধতিগুলোর মধ্যে (ii) ও (iii) নং নামকরণ পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ (ii) ও (iii) নং পদ্ধতি দুটিতে দ্বিপদ নামকরণের সঠিক নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয় নি। কিন্তু (i) Mangifera indica পদ্ধতিতেই আমের সঠিক দ্বিপদ নামকরণের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আমের এ ধরনের নামকরণ পদ্ধতি গ্রহণের কারণ উপস্থাপন করা হলো-

১. জীবের দ্বিপদ নামকরণ হাতে লিখতে গেলে গণ ও প্রজাতির নামের নিচে দাগ দিতে হয়। যা কিনা (i) Mangifera indica পদ্ধতিতে অনুসরণ করা হয়েছে। ফলে আমের কোনটি গণ নাম ও কোনটি প্রজাতি নাম তা সহজেই বুঝা যাচ্ছে।
২. এ ধরনের দ্বিপদ নামকরণের মাধ্যমে পৃথিবীর কোনো বিশেষ জীব বা জীবকূলকে একটি নির্দিষ্ট নামে শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়।
৩. এ পদ্ধতির মাধ্যমে কোনো জীবের দ্বিপদ নাম প্রদানকারীর নাম জানা যায়। যেমন- Mangifera indica Li. এখানে Li হচ্ছে ক্যারোলাস লিনিয়াসে এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
৪. দ্বিপদ নামকরণে ভাষা হবে ল্যাটিন। এর বর্ণনা একই ভাষায় হওয়ায় সকলের ক্ষেত্রে বুঝতে সুবিধা হয়।
৫. কোন জীব কোন গণের অন্তর্গত তা সহজেই জানা যায়।
৬. জীবের গণের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা যায়।

সুতরাং দ্বিপদ নামকরণের উপরোক্ত সুবিধাগুলোর কারণেই জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি আমের দ্বিপদ নামকরণের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের (i) Mangifera indica নামকরণ পদ্ধতিটি গ্রহণ করলাম।

New comments are not allowed.*

Previous Post Next Post